রোহিঙ্গা পুত্র উপজেলা আ. লীগ আহবায়ক, ক্যাম্প জুড়ে মোনাজাত!

|

রাজা শাহ আলমকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বানানোর জন্য দোয়া করেছেন কুতুপালং ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা। ছবি- সংগৃহীত।

রোহিঙ্গাদের বিপ্লবী এক নেতার পুত্র হয়েছেন কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক। সেই খুশিতে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মসজিদে মসজিদে চলছে বিশেষ মোনাজাত। রোহিঙ্গা নেতার এই পুত্র একদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবে এমন প্রার্থনাও করা হয়েছে সেখানে। এই ঘটনায় কক্সবাজার জুড়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি আহবায়ক করা হয়েছে শাহ আলম চৌধুরী ওরফে প্রকাশ রাজা শাহ আলমকে। রাজা শাহ আলম রোহিঙ্গাদের এক সময়ের বিপ্লবী নেতা কাশিম রাজার পুত্র। ৬০’র দশকে মিয়ানমার সরকারের চাপের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন কাসিম রাজা। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানীর পাহাড়ি এলাকায় সপরিবারে আশ্রয় নেন। সেখানেই বসতি গড়েন। কথিত আছে, ৭০’র দশকে মিয়ানমারের গুপ্তচরেরা উখিয়ার ইনানীর পাহাড়ী এলাকায় কাশিম রাজাকে হত্যা করে।

কাশিম রাজার ৩ পুত্র ও ২ কন্যা। তার জ্যেষ্ঠ পুত্র হলো শাহ আলম চৌধুরী প্রকাশ রাজা শাহ আলম। তিনি কক্সবাজারে মাছের ব্যবসা করতেন। কক্সবাজারের লাবনী পয়েন্টে হোটেল মিডিয়া নামের একটি হোটেল নির্মাণ করেন। হোটেল ব্যবসার যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে ধীরে ধীরে আওয়ামী লীগ নেতাদের সংস্পর্শে আসেন।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে রাজা শাহ আলম কক্সবাজার সার্কিট হাউসের নিচে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করেন। সেই ভবনের দুটি ফ্ল্যাট দেন কক্সবাজার আওয়ামী লীগের আলোচিত দুই নেতাকে। তাদের সাথে ঘনিষ্ঠতার সূত্র ধরে জড়িয়ে পড়েন জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে।

সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি ঘোষণা করে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ। এতে আহবায়ক করা হয় শাহ আলম চৌধুরী প্রকাশ রাজা শাহ আলমকে। এরপর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন মসজিদে তাকে নিয়ে দোয়া করা হয়েছে। সেখানে তাকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বানানোর জন্য মোনাজাত করা হয়। এ ঘটনায় উখিয়া তথা গোটা কক্সবাজারে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply