সম্প্রতি এক তরুণীকে দুবাইয়ের একটি অভিজাত হাসপাতালে আয়ার চাকরি দেয়ার কথা বলে সৌদিতে পাঠায় ফাতেমা ওভারসিস নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এরপর ওই তরুণীকে একটি সৌদির বাসায় গৃহকর্মীর কাজ দেয়া হয়। কিন্তু কিছুদিন পরই তার উপর অকথ্য নির্যাতন নেমে আসে। শুধু তাই নয়, কয়েক মাস কাজ করলেও তাকে কোনো বেতন ও টাকা পয়সা দেয়া হয়নি।
ওই তরুণীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে রাজধানীর বনানীর ১০ নম্বর রোডে থাকা প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালিয়েছে র্যাব। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। এ সময় এজেন্সিটির মালিক কবির হোসেন ও সহযোগী সোহাগকে মানব পাচার আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু জানান, এজেন্সিটি মূলত ওই তরুণীর সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তারা তাকে প্রথমে দুবাই পাঠানোর কথা বলেছিল। শর্ত ছিলো তাকে সেখানে একটি হাসপাতালে ভালো কাজ দেবে। কিন্তু বিমানবন্দরে নেয়ার পর তাকে জানানো হয় সৌদিতে পাঠানো হচ্ছে। বাধ্য হয়ে ওই তরুণীও সৌদিতে যান এবং সেখানে গৃহকর্মীর কাজ নেন। কিন্তু যে বাসাটিতে কাজ দেয়া হয়েছিল সেখানে তাকে নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়।
তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, কয়েক মাস কাজ করানো হলেও কোনো বেতন দেয়া হয়নি। তাকে মাঝে মাঝে কোন খাবারও দেয়া হত না। তরুণীর পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফাতেমা ওভারসিসে অভিযান চালানো হয় এবং ২ জনকে মানব পাচার আইনে গ্রেফতার দেখানো হয়। তাদের বিরুদ্ধে human trafficking act এ নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন।
ইউএইচ/
Leave a reply