ভারত রফতানি বন্ধ করে দেয়ার আগেই বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আনার উদ্যোগ নিয়েছেন আমদানিকারকরা। গত ১৩ দিনে ৬টি দেশ থেকে ৪০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে ‘প্ল্যান্ট কোয়ারেন্টাইন’ তথা ‘উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র’। আইপি ইস্যু হয়েছে ১০১টি। পাইপলাইনে থাকা এসব চালান আগামী সপ্তাহ থেকে বাজারে ঢুকতে শুরু করবে বলে দাবি আমদানিকারকদের।
‘প্ল্যান্ট কোয়ারেন্টাইন’ এর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর শাখার তথ্য মতে, ভারত রপ্তানি বন্ধ করে আগেই, অর্থাৎ গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিতে শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। গেল ১৩ দিনে প্রায় ৩৯,৯১৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে ২৫ টি প্রতিষ্ঠান। মঙ্গলবার একদিনেই প্রায় ৩০,৮১২ হাজার টনের বেশি পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সংস্থাটি।
মূলত: ভারত থেকে রফতানি বন্ধ এবং দেশে সম্ভাব্য সংকটের বিষয়টি আগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন আমদানিকারকরা। তাই আগেভাগেই চীন, মিয়ানমার, পাকিস্তান, মিশর, তুরস্ক, নেদারল্যান্ড এই ৬টি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমাদানির জন্য এলসি খোলেন তারা। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এসব পেঁয়াজ দেশের বাজারে ঢুকতে শুরু করবে বলছেন আমদানিকারকরা।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের সংগঠনের তথ্য মতে, গেল কয়েকদিনে চট্টগ্রামের অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন ব্যবসায়ী পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছেন। উৎসাহিত করা হচ্ছে অন্যদেরও।
সরকারি হিসাবে, দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ২৪ লাখ টন। এর মধ্যে ৭ থেকে ৮ লাখ টন ঘাটতি পোষানো হয় বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করে।
উদ্ভিদজাত যে কোন পণ্য আমদানির আগে অনুমতি নিতে হয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘প্ল্যান্ট কোয়ারেন্টাইন’ থেকে। দেশজুড়ে যার রয়েছে ৩০টি শাখা।
Leave a reply