তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাকে হয়রানিমূলক উল্লেখ করে কোনো ধরনের আগাম জামিন না নেয়ার কথা জানিয়েছেন ডাকসুর সদ্য সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। গণফোরামের পক্ষ থেকে আইনি সহায়তা দেয়ার আশ্বাস প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আপাতত এই মিথ্যা মামলার বিষয়ে আইনি কোনো প্রক্রিয়ায় যেতে চাইছি না।
নুর বলেন, আমার বিরুদ্ধে আরও ৪টি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা আছে। আমি সেগুলোরও আগাম জামিন নেইনি। বিচার ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থার সংকট রয়েছে। সেখানে গিয়ে ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। আমি পারতপক্ষে এই প্রক্রিয়ায় যেতে চাই না। গণফোরামের পক্ষ থেকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করে খোঁজ নেয়া হয়েছিল। আইনি সহয়তার প্রয়োজন হলে তখন ভেবে দেখবো।
এর আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদ্য সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরকে আটক ও হয়রানির নিন্দা জানিয়েছেন গণফোরাম। প্রয়োজনবোধে ভিপি নুরসহ আন্দোলনরত সকল নেতৃবৃন্দকে আইনি সহায়তা দেওয়ার কথাও জানানো হয় গণফোরামের পক্ষ থেকে।
এ প্রসঙ্গে জানতে যমুনা নিউজ থেকে যোগাযোগ করা হয় গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়ার সাথে।
বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন জানান, যাদেরই আইনি সহায়তা প্রয়োজন আমরা চেষ্টা করি তাদের পাশে দাঁড়ানোর। আমরা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আইনি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। কারও সামর্থ না থাকলেও তাকে সহায়তা দেয়া হয়। কেউ আমাদের কাছে সহায়তার জন্য আসলে সে ব্যবস্থা করা যাবে।
গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া জানান, এ ধরনের হয়রানিমূলক আচরণের নিন্দা জানায় গণফোরাম। এই প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেয়া হবে।
রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ আরও পাঁচজনকে সহযোগিতার অভিযোগে আসামি করা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় এই মামলার প্রতিবাদে ডাকা বিক্ষোভ মিছিল শেষে নুরসহ সাতজনকে আটক করে পুলিশ। পরে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
সোমবার রাতেই নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে তরুণীকে অপহরণ, ধর্ষণ, ধর্ষণে সহযোগিতা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর কোতওয়ালী থানায় আরেকটি মামলা হয়। মামলায় নুরসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
Leave a reply