সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সকাল সোয়া ৯টার দিকে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তাকে ছাতক থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদিকে মাধবপুর এলাকা থেকে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে করা মামলার চার নম্বর আসামি অর্জুন লস্করকে গ্রেফতারের কথা জানায় পুলিশ।
এর আগে এ ঘটনায় ছয় জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করে শনিবার সকালে নগরীর শাহপরান থানায় মামলা করেছিলেন ভুক্তভোগী তরুণীর স্বামী। ঘটনার পর থেকেই জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। যার অংশ হিসেবে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি আসামিদের পালিয়ে যাওয়া ঠেকাতে সিলেটের সব সীমান্ত এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- এম সাইফুর রহমান, মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এদের মধ্যে চারজন ওই কলেজের শিক্ষার্থী। এছাড়া আরও তিন জনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে। এরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানা গেছে।
ঘটনার পরই অভিযুক্তদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযানে নামে পুলিশ। শুক্রবার রাত ২টার দিকে পুলিশ অভিযুক্ত সাইফুরের কক্ষ থেকে একটি পাইপগান, চারটি রামদা, একটি ছুরি ও দুটি লোহার পাইপও উদ্ধার করে।
জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রী এমসি কলেজে বেড়াতে যান। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ৫-৬ জন জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায় দম্পতিকে। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে ১৯ বছরের গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে তারা।
খবর পেয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে শাহপরাণ থানা পুলিশ।
Leave a reply