মাছের চামড়া দিয়েই তৈরি হচ্ছে বেল্ট মানিব্যাগ

|

গরু-ছাগল কিংবা কুমির নয়, বেল্ট-মানিব্যাগ আর জুতার মতো পন্য তৈরীতে ব্যবহৃত হচ্ছে মাছের চামড়া। ইটাইওস নামে প্যারিসের এক প্রতিষ্ঠান নিয়েছে এই উদ্যোগ।

স্যামন আর স্টারজিওনের মতো মাছের চামড়া ব্যবহার করে তৈরী হচ্ছে এসব পন্য। আর সেগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে নামি দামি সব ফ্যাশন হাউজে। বিক্রির অপেক্ষায় থাকা এসব ঘড়ি, মানিব্যাগ আর বেল্ট প্রথম দফায় আর সব চামড়াজাত পন্যের মতো মনে হলেও রয়েছে ভিন্নতা। কারণ, গরু, ছাগল কিংবা কুমিড় নয়, এসব পন্য তৈরী হয়েছে মাছের চামড়া থেকে।

ফ্যাশনের স্বর্গ হিসেবে খ্যাত ফ্রান্সের প্যারিস। আর সেখানেই এই ভিন্ন আইডিয়া নিয়ে কাজ করছে ইটাইওস। মুলত স্যামন, স্টারজিওন আর বিভিন্ন কার্প জাতীয় মাছের চামড়া থেকেই তৈরী হয়েছে এসব পন্য। পরিণত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন জুতো, জ্যাকেটও।

ইটাইওসের প্রতিষ্ঠাতা বেনজামিন ম্যালট্রেট বলেন, আমাদের নীতিটা খুব সহজ। ফেলে দেয়া মাছের অংশ সংগ্রহ করি আমরা। সেখান থেকে চামড়াগুলো নেয়া হয়। তার সেগুলো প্রক্রিয়াজাত করে বিলাসবহুল পন্য বানানো হবে।

পরিবেশ বান্ধব ভাবনা আর ভিন্ন কিছু করার চিন্তা থেকেই এই উদ্যোগ বলে জানান, প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার। তাই ব্যবহৃত হচ্ছে মাছের চামড়া। বিভিন্ন রেস্তোরা আর সুশি হাউজের ফেলে দেয়া মাছের চামড়া সংগ্রহের পর তা প্রক্রিয়াজাত করা হয়। প্রতিবার ১০ থেকে ১২ টন মাছের চামড়া সংগ্রহণের পর সেখান থেকে প্রায় ১০ হাজার পিস চামড়া সংগ্রহ করা হয়।

ম্যালট্রেট আরও জানান, প্রতি ব্যাচে আমরা ১ হাজারের মতো চামড়া প্রক্রিয়াজাত করি। এতে আমাদের প্রায় ২ সপ্তাহ সময় লাগে। আসলে মানসম্পন্ন পন্য তৈরী করতে গেলে সময় লাগবেই।

তিনি বলেন, বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় আড়াইশ ফ্যাশন হাউজে সরবরাহ করা হচ্ছে পন্য। যার মধ্যে ল্যুই ভ্যুতো, ক্রিস্টিয়ান ডিওরের মতো প্রখ্যাত প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। আমাদের নিয়মিতভাবে যেসব পশুর চামড়া ব্যবহার করা হয় সেটার ওপর চাপ কমানো। আর তাই মাঝের চামড়া ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। এতে করে চামড়ার আরও একটি উৎস বাড়লো।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply