একযোগে বেশ কিছু খাদ্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিতে অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার। কারসাজির নেপথ্যের ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বার্তা দিয়েছে সরকারি সংস্থা। তাদের প্রতিবেদন বলছে, বাজারে এখনও তৎপর অসাধু চক্র। তার ওপর রয়েছে আমদানি ঘাটতিও। ফলে বারবার অভিযান চালিয়েও সুফল আসছে না।
বেশ কয়েকদিন ধরেই চাল, পেঁয়াজের পাশাপাশি ভোজ্যতেল, ডাল, মাংস, আলু, কাঁচামরিচসহ সব বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম উর্ধ্বমুখী।
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি’র তথ্যই বলছে, এক বছরের ব্যবধানে চাল, ভোজ্যতেল, মশুর ডাল, পেঁয়াজ, গুড়োদুধের দাম ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। বাজারের এই অস্থিরতা করোনা মহামারির সময়ে প্রান্তিক ও নিন্ম আয়ের জনগোষ্ঠির জীবনযাত্রাকে ভোগান্তির মধ্যে ফেলেছে।
বাজারে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা কেজির নীচে মিলছে না কোনো চাল। গেল মাস থেকে দাম বেড়েই চলছে। গত এক সপ্তাহে সব ধরনের চালের দাম বস্তা প্রতি বেড়েছে ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকা।
এক লাফে দ্বিগুণ হয়েছে পেঁয়াজের দাম। দেশি জাত ৮৫ থেকে ৯০ আর প্রতি কেজি ভারতীয় জাতের জন্য গুণতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এক মাসের ব্যবধানে দেড়শো টাকার আদা বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। এসব খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে ক্রেতাদের আরো চাপে ফেলেছে ভোজ্যতেলের উত্তাপ। প্রতি লিটারে দাম বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা।
পণ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য দায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বার্তা পাঠিয়েছে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। পণ্যের বিশাল ঘাটতির কথা তুলে ধরে বলা হয়েছে, দ্রুত আমদানির মাধ্যমে সরবরাহ বাড়ানো না গেলে, পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যাবে। পণ্যের যোগান বাড়ানোর চেষ্টা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাজারে বাজারে পরিচালিত অভিযানে যে খুব একটা সুফল আসছে না, তাও উল্লেখ করা হয়েছে সরকারি সংস্থার প্রতিবেদনে।
Leave a reply