স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর:
৭২ ঘণ্টা পরেও এখনও জলবন্দী এলাকায় ৭০ ভাগ অংশ থেকে পানি নামেনি রংপুর মহানগরী থেকে। শ্যামা সুন্দরী খাল ভরাট ও ঘাঘটের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় পানি নামছে খুবই ধীরগতিতে।
এখনও নগরীর প্রাণকেন্দ্র রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালী থানা ও সামনের সড়কে হাটু পানি।থানা এলাকায় এখনও স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ সরবরাহ। গাছ উপড়ে যাওয়ায় লাইন ঠিক করতে দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। আর থানার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে অন্য থানা ও সার্ভিস ডেলিভারি সেন্টার থেকে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার আব্দুল আলীম মাহমুদ।
অন্যদিকে মুলাটোল, গোমস্তপাড়া, মুন্সিপাড়া, নুরপুর, খেরবাড়ি, পাঠানপাড়া, দর্শনা, খামারপাড়া, নীলকণ্ঠ, কুকরুলসহ পানিবন্দি শতাধিক পাড়ামহল্লার মানুষ। নিম্ন আয়ের মানুষের সবচেয়ে দুর্দিন। তারা কাজে যেতে পারছেন না।
সিটি করপোরেশন থেকে পানি নামাতে চলছে কার্যক্রম। জলবন্দি মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ শুরু করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। গত শনিবার সকাল ৬টা থেকে রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৪৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় রংপুরে। যা একশ বছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড। এতে তলিয়ে যায় নগরীর ১৪৮টি পাড়া মহল্লা।
ইউএইচ/
Leave a reply