আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সংঘাত গড়ালো পঞ্চম দিনে। এর ফলে ক্রমেই বাড়ছে প্রাণহানি। সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে কঠোর অবস্থানে মুসলিম রাষ্ট্র- আজারবাইজান। প্রেসিডেন্ট হুমকি দিয়েছেন, সমঝোতা না হলে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে আদায় হবে অধিকার।
এরমাঝেই, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের হুমকি- প্রতিবেশীরা আপোষ না করলে সামরিকভাবেই আদায় হবে অধিকার। অন্যদিকে, তুরস্কের বেপরোয়া আর উস্কানিমূলক বক্তব্যের কারণে বাড়ছে দু’দেশের তীক্ততা- এমন অভিযোগ ফ্রান্সের।
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বলেন, একটাই শর্ত- দ্রুততম সময়ে, পুরোপুরি আমাদের ভূখণ্ড ছাড়তে হবে আর্মেনিয়াকে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র যদি এ সমঝোতায় রাজি হয়, তাহলেই কেবল লড়াই থামবে। আসবে আঞ্চলিক শান্তি। কারণ, আজেরীয়রা আগ্রাসনের সাথে মিটমাট করবে না। নিজ অধিকার আদায়ে প্রয়োজনে নেয়া হবে সামরিক পদক্ষেপ।
অস্ত্রবিরতি কার্যকরে দেশদুটিকে আহ্বান জানানোর পাশাপাশি অনেক দেশই শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতায় আগ্রহী। কিন্তু, তুরস্কের উসকানিমূলক ও বেপরোয়া বক্তব্যে বাড়ছে সংঘাত- এমন অভিযোগ ফ্রান্সের।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন বলেন, আজারবাইজানের সমর্থনে তুরস্কের রাজনৈতিক অবস্থান উদ্বেগজনক। প্রতিবেশী হিসেবে, দেশটির বক্তব্য খুবই অবিবেচক ও ভয়াবহ। লড়াই থামাতে চাইলে, পক্ষপাতমূলক আচরণ বন্ধ করতে হবে। কিন্তু, তুরস্ক যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও উস্কে দিচ্ছে।
অবশ্য, সবধরণের অভিযোগ অস্বীকার করছে এরদোগান প্রশাসন। দাবি- মিত্র হিসেবেই আজারবাইজানের পাশে রয়েছে তুরস্ক।
তুরস্কের সরকারি দলের মুখপাত্র ওমর সেলিক বলেন, তুরস্ক সীমান্তে বিদ্রোহী সেনাদের লড়াইয়ের জন্য মোতায়েন করছে অথবা, ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে– এমন অভিযোগের সবগুলোই মিথ্যা।উল্টো আর্মেনিয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত, ভেঙ্গেছে জেনেভা ট্রিটি এবং আন্তর্জাতিক বিধিমালা। নিজেদের অপরাধ লুকানোর জন্যেই এখন তুরস্কের ঘাড়ে দায় চাপাচ্ছে।
ভূরাজনৈতিকভাবে, নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের মালিক আজারবাইজান। কিন্তু, নিয়ন্ত্রণ করে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। ৮০’র দশকের শেষ থেকেই বিষয়টি নিয়ে দফায়-দফায় হচ্ছে লড়াই। যাতে, এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি মানুষ।
Leave a reply