গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার চাঞ্চল্যকর চার পুলিশ হত্যাসহ একাধিক নাশকতা মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামি জামায়াত নেতা মো. আবুল কাশেমকে নলডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নলডাঙ্গা শহীদ মিনার চত্বরে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের সাধারণ জনগণ। এতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার কয়েকশো মানুষ অংশ নেয়।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন করে কলেজের প্রভাষক আবুল কাশেমকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গভর্নিং বডির সভাপতি। অথচ আবুল কাশেম একজন জামায়াতের সক্রিয় নেতা। বামনডাঙ্গার চার পুলিশকে কুপিয়ে হত্যা মামলার চার্জশীটভুক্ত ২০ নম্বর আসামি তিনি।
এছাড়া সন্ত্রাস ও নাশকতামুলক কর্মকাণ্ডের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অন্তত ৫-৬টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। কলেজে একাধিক অধ্যাপক থাকলেও তাদেরকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়নি। অথচ একজন অপরাধী আর প্রভাষক সত্বেও আবুল কাশেমকে দায়িত্ব দেয়ার ঘটনায় সর্বমহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
বক্তাদের অভিযোগ, কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি (বর্তমানে হাইকোর্ট কর্তৃক অব্যহতিপ্রাপ্ত) এবং নলডাঙ্গা ইউনিয়ন আ’লীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম নয়ন একক সিদ্ধান্তে জামায়াত নেতা আবুল কাশেমকে দায়িত্ব দেন।
এসময় বক্তারা অবিলম্বে অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে তাকে অপসরণসহ স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান। দ্রুত এই সিদ্ধান্ত বাতিল না হলে আরও কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি নেয়ার ঘোষণা দেন বক্তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাদুল্লাপুর উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যক্ষ জাকারিয়া খন্দকার, সহ-সভাপতি জিল্লুর রহমান খন্দকার, মোজাহারুল ইসলাম, নলডাঙ্গা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সরকার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. চাঁন মিয়া, নলডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শাহরিয়ার ইসলাম রাসেল ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আহম্মদ আলী প্রমুখ।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজ গভর্নিং কমিটির সভাপতি তরিকুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী কলেজ কমিটির সভার সিদ্ধান্তে আবুল কাশেমকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে নাশকতার যে মামলা রয়েছে তা আদালতের বিষয়।’
Leave a reply