ইরানের উত্তরের দুই প্রতিবেশী দেশ আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার সংঘাত বেড়েই চলছে। কারাবাখ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েই এ সংঘাতের সৃষ্টি। আর চলমান এই উত্তেজনার মাঝেই এ অবস্থায় ইরান ভূখণ্ডে এ পর্যন্ত ১০টির বেশি মর্টারের গোলা এসে পড়েছে বলে দাবি করেছে ইরান।
ইরানের সীমান্তবর্তী ‘খোদা অফারিন’ জেলায় এসব মর্টার এসে পড়েছে বলে সেখানকার গভর্নর আলী আমিরি রাদ দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনাকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১০টির বেশি মর্টার ইরান ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে। এগুলো অনাবাসিক ও কৃষিক্ষেত্রে এসে পড়েছে। ইরনা আরও জানায়, মর্টার আঘাত হানার ফলে ইরানের এক শিশু আহত হয়েছে।
আজারবাইজানের গানজা শহরে আর্মেনিয়ার রকেট হামলায় এক বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় পাল্টা প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ।
রোববার তুর্কি সংবাদ মাধ্যম ইয়েনি শাফাকের প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ পায়। বলা হয়, আর্মেনিয়ার অভ্যন্তরে যেসব শহর থেকে হামলা চালানো হয়েছে সেসব এলাকা ধ্বংস করার কথা জানিয়েছেন ইলহাম আলিয়েভ।
প্রেসিডেন্ট বলেন, আর্মেনিয়ার সামরিক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করবে আজারবাইজান। যেখান থেকে আজারি শহরে আর্মেনিয়া হামলা চালিয়েছিল। এর আগে আজারবাইজানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল দেশটির দ্বিতীয় শহর গানজায় আর্মেনিয়ার রকেট হামলায় একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। তবে এ হামালার দায় অস্বীকার করেছে আর্মেনিয়া।
শনিবার আজারবাইজানের সেনাবাহিনী বিতর্কিত কারাবাখের মাদাগিজ শহর দখল করে পতাকা উত্তোলন করে। ওই শহরটি এক সময় আর্মেনিয়া দখল করে নিয়েছিল। এক ঘোষণায় আর্মেনিয়ার প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এ কথা জানান।
বিতর্কিত অঞ্চল নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে গত সপ্তাহে বিরোধে জড়ায় দুই প্রতিবেশী দেশ আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। আজারবাইজানের বেসামরিক অঞ্চল ও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায় আর্মেনিয়া। ফলে দুই দেশের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলার সূচনা হয়।
Leave a reply