রীতিমতো খামার করে পোকার চাষ চলছে কেনিয়ায়। নাইরোবির একটি খামারে প্রতিদিন উৎপাদন হচ্ছে আড়াইটন পর্যন্ত মাছির লার্ভা। মুলত মাছের খাবার হিসেবে ব্যাপক চাহিদা থাকায় এসব লার্ভা উৎপাদন করা হয়।
লার্ভা উৎপাদনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে পচনশীল আবর্জনা। ব্যতিক্রমী এই খামারের উদ্যোক্তা তালাশ হুইজবার্স জানান- শুধু লার্ভা উৎপাদনই নয়, আবর্জনা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ কমাতে এই উদ্যোগ।
শরীর শিউরে ওঠা এমন দৃশ্য কেনিয়ার একটি খামারের। কোনো পশু কিংবা শস্য নয়, বাণিজ্যিকভাবে এখানে চাষ হচ্ছে এসব পোকার। প্রতিদিন দুই থেকে আড়াইটন পোকার লার্ভা উৎপাদিত হয় এই খামারে।
ভিন্ন কিছু করার পরিকল্পনা নিয়ে দুই বছর আগে ইনসেকটিপ্রো নামের এই পোকার খামার শুরু করেন কেনিয়ার তালাশ হুইজবার্স। মাছের খামারের জন্য লার্ভার উৎপাদন আর সেই লার্ভা তৈরীতে আবর্জনা ব্যবহার করে পরিবেশ দূষণ কমানোর লক্ষ্য নিয়ে নাইরোবিতে শুরু করেন এই উদ্যোগ।
তালাশ হুইজবার্স জানান, নাইরোবির যত বড় বড় বাজার আছে সেখান থেকে এসব আবর্জনা সংগ্রহ করা হয়। তারপর সেগুলোকে এখানে পচানো হয়। পচানোর সময় মাছি এসে ডিম পাড়ে। আর সেখান থেকে আসে এসব লার্ভা।
প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ টন আবর্জনা সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানটি। মুলত কাচা সবজি, ফল, গাছের পাতার মতো পচনশীল আবর্জনা সংগ্রহ সেটি প্রক্রিয়াজাত করা হয়। তারপর সেখানে জন্ম নেয় এসব লার্ভা। আফ্রিকার ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই বা কালো মাছির ডিম থেকে তৈরী হয় এসব লার্ভা। মূলত মাছের খামারে সরবরাহ করা এসব। কিছু লার্ভা রাখা হয় পরিপুর্ণ মাছিতে পরিণত হওয়ার জন্য।
মুলত তানজানিয়া আর উগান্ডা থেকে আসে মাছের খাবার। সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে তীব্র সংকট দেখা দেয়। তাই সেই চাহিদা পুরন যাতে সম্ভব হয় সেই লক্ষ্যে আমি লার্ভা উতপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি বলে জানান এই উদ্যোক্তা।
প্রক্রিজাতকৃত আবর্জনা ব্যবহার করা হয় কৃষিকাজে। নাইরোবিতে প্রতিদিন গড়ে ৩ হাজার টন আবর্জনা তৈরী হয়। দেশটির পরিবেশ দফতার বলছে ব্যতিক্রমী এ ধরণের উদ্যোগের মাধ্যমে সহজেই আবর্জনা ব্যবস্থাপনা সম্ভব।
Leave a reply