চীনের লামু নামে এক সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তারই প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে। লামুর শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রায় দু’সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষে হার মানেন। এই ঘটনায় চীনের সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। খবর- আনন্দবাজার পত্রিকা।
তিব্বতি সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার লামুর সঙ্গে বিয়ে হয় ট্যাং নামে এক ব্যক্তির। তাদের দু’টি সন্তানও রয়েছে। কিন্তু গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগে বিবাহ বিচ্ছেদ চান লামু। শেষ পর্যন্ত দু’জনের কাছে একটি করে সন্তান রাখার রায় দিয়ে আদালত বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করে।
বিচ্ছেদের পরেও ট্যাং নানা ভাবে লামুকে বিরক্ত করতো বলে অভিযোগ। এমনকি লামুর কাছে থাকা সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকিও নাকি দিচ্ছিলেন। হুমকি দিয়ে লামুকে বলেন, যদি তাকে ফের বিয়ে না করে তবে সন্তানকে মেরে ফেলবেন ট্যাং। পুলিশে অভিযোগ জানান লামু। পুলিশ তুলে নিয়ে গেলেও এক সময় ছেড়ে দেয় ট্যাংকে। ফের একই নাটক শুরু হয়।
অবশেষে চরম পরিণতি। ১৪ সেপ্টেম্বর তখন লাইভ স্ট্রিমিং করছিলেন লামু। অভিযোগ, সেই সময় এক হাতে ধারাল অস্ত্র আর অন্য হাতে পেট্রোলের ক্যান নিয়ে লামুর বাড়িতে ঢুকে যান ট্যাং। লামুর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। ট্যাংকে আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন লামুর পরিবারের বাকি সদস্যরা। অগ্নিদগ্ধ লামুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি।
চীনের শর্ট ভিডিও অ্যাপ ‘ডুইন’-এ লামুর প্রায় আট লাখ ফলোয়ার রয়েছে। তিনি চীনের গ্রামীণ জীবন নিয়ে নানা ভিডিও তৈরি করতেন। জনপ্রিয় গানে তার কভার করা ভিডিওগুলিও প্রচুর লাইক, শেয়ার পেত। দিন দিন তার জনপ্রিয়তা বাড়ছিল। কিন্তু পারিবারিক হিংসার আগুনে সব থেমে গেল।
Leave a reply