নারায়ণগঞ্জে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় করেও সাত বছরের শিশু আকিব হত্যা মামলার একমাত্র আসামি রতনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। শিশুটিকে অপহরণের অপরাধে একটি ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং মুক্তিপণ আদায়ের অপরাধে আরেকটি ধারায় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া শিশুটিকে হত্যার অপরাধে আসামি রতনকে আরেকটি ধারায় আরেকবার মৃত্যুদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। আসামির কাছ থেকে জরিমানার অর্থ আদায় করে বাদিকে দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শাহিন উদ্দিন এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসাই রতন কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানার মির্জানগর এলাকার মৃত জয় মিয়ার ছেলে। সে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার একরামপুর ইস্পাহানি এলাকার রাজ্জাক মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতো।
আদলত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর বাড়ির পাশের খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশু আকিব। রাতে পরিবারের কাছে ফোন করে আকিবের মুক্তিপণ বাবদ ২০ হাজার টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। তবে মুক্তিপণের সেই টাকা দেয়ার পরও শিশু আকিবকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে না দিয়ে হত্যার পর পুকুরে লাশ গুম করে। ঘটনার চারদিন পর র্যাব অপহরণকারী রতনকে গ্রেফতারের পর তার দেখানো মতে বন্দরের জাকির শাহ মাজারের পেছনের ডোবা থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শিশু আকিবের বাবা জামাল মিয়া বাদি হয়ে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে রতনকে আসামি করে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর রকিব উদ্দিন জানান, এই মামলার প্রধান আসামি রতন গ্রেফতারের পর হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছিলো। সেই জবানবন্দি ও নয়জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণের ভিত্তিতে আদালত মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন করে আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
Leave a reply