তীব্র স্রোতের কারণে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ৪ ও ৫ নম্বর পিলারে আজ বসানো যাচ্ছে না পদ্মা সেতুর ৩২তম স্প্যান।
শনিবার মাওয়া প্রান্তের ৪ ও ৫ নম্বর খুঁটির ওপর পদ্মা সেতুর ৩২তম স্প্যান বসানোর কথা ছিলো। ৩১তম স্প্যান বসানোর ৪ মাস পর এই স্প্যানটি বসবে। এটি বসানোর পর মূল সেতুর অবকাঠামোর দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে ৪ হাজার ৮০০ মিটার বা প্রায় ৫ কিলোমিটার।
গত আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে ৫টি স্প্যান খুঁটির ওপর বসানোর লক্ষ্য ছিল। তবে মাওয়া প্রান্তের মূল পদ্মায় প্রচণ্ড স্রোত থাকায় একটি স্প্যানও বসানো সম্ভব হয়নি। আজও একই কারণে বসানো গেলো না ৩২তম স্প্যানটি।
স্রোতের তীব্রতা স্বাভাবিক হওয়ার ফলে আজ মাওয়া প্রান্তের ৪ ও ৫ নম্বর খুঁটির ওপর পদ্মা সেতুর ৩২তম স্প্যান বসানোর দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতল পদ্মা সেতুতে মোট ৪২টি খুঁটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে মাওয়া প্রান্তে ২১টি ও জাজিরা প্রান্তে ২১টি। আর ৪২টি খুঁটির ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান।
সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আ. কাদের বলেন, সকালে মুন্সিগঞ্জের কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে জাজিরার উদ্দেশে স্প্যান নিয়ে ভাসমান ক্রেনটি রওনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয় ২৯টি স্প্যান। প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে সবকটি পিলার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে।
Leave a reply