চেন্নাইকে ১০ উইকেটে হারিয়ে শীর্ষে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স

|

মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন চেন্নাই সুপার কিংসকে ১০ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। শুক্রবার মাঠের লড়াইয়ে নামার আগেও প্লে অফের জোড়ালো স্বপ্ন দেখেছিল চেন্নাই। কিন্তু ১০ উইকেটের হার স্বপ্নটাই ফিকে করে দিলো ধোনিদের।

এখন কলকাতা, হায়দরাবাদ,পাঞ্জাব ও রাজস্থানের সাথে পরের তিন খেলায় টানা জয়ের দরকার। এই চার দলের মধ্যে কোনো দল যদি ১০ পয়েন্টের বেশি না পায়, আর চেন্নাই যদি নিজেদের পরের তিন খেলায় টানা জয় পায় তাহলে তাদের পয়েন্ট হবে ১৪ খেলায় ১২। তাহলেই প্লে অফে খেলতে পারে ধোনিরা। এই হিসেবেই কিছুটা আশান্বিত ধোনিরা।

আইপিএল ইতিহাসে এই প্রথম গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নেয়ার শঙ্কায় পড়ে আছে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন দলটি। অথচ তার অধীনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিনবার আইপিএল শিরোপা জিতেছে চেন্নাই।

শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ১১৫ রানের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১০ উইকেটের বিশাল জয় পায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এই জয়ে স্রেয়াশ আয়ার ও বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন দিল্লি ক্যাপিটালস এবং রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে হটিয়ে তৃতীয় পজিশন থেকে ১৪ পয়েন্ট শীর্ষে উঠে গেল মুম্বাই। সমান পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে দিল্লি ক্যাপিটালস আর তিনে বেঙ্গালুরু।

টস জিতে চেন্নাইকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমেই ট্রেন্ট বোল্টের গতির মুখে পড়ে মাত্র ৪৭ রানে ৭ উইকেট হারায় চেন্নাই।

দলের টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান ডু প্লেসিস, আম্বাতি রাইডু, অধিনায়ক ধোনি ও রবিন্দ্র জাদেজারা প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেননি। প্রথমসারির সাত ব্যাটসম্যানের মধ্যে একমাত্র ধোনি ফিরেছেন ১৬ রানে। বাকি ছয় ব্যাটসম্যানের একজনও দুই অঙ্কের ফিগার রান করতে পারেননি। তার আগেই সাজঘরে ফেরেন।

সাত নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা চেন্নাইয়ের ইংল্যান্ড রিক্রইট স্যাম কারানের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৪৩ রানে ৭ উইকেট পতনের পরও ১১৪ রান তুলতে সক্ষম হয় ধোনিরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ বল খেলে দুটি ছয় ও চার বাউন্ডারিতে ৫২ রান করেন স্যাম কারান। মুম্বাইয়ের হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রানে সর্বোচ্চ চার উইকেট শিকার করেন নিউজিল্যান্ডের তারকা পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। এছাড়া দুটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন জশপ্রীত বুমরাহ ও রাহুল চাহার।

১১৫ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে ইশান কিশানকে সঙ্গে নিয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ১২.২ ওভারেই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন কুইন্ডন ডি কক। তারা ১১৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে ১০ উইকেটের বিশাল জয় উপহার দেন। ৩৭ বলে ছয় চার ও পাঁচ ছক্কায় ৬৮ রান করেন কিশান। আর ৩৭ বলে পাঁচ চার ও দুই ছক্কায় ৪৬ রান করেন ডি কক।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply