বরিশাল ব্যুরো:
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর স্বজন ও নার্সদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
রোববার দুপুরে হাসপাতালের ৪ তলায় মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। পরে হাসপাতাল প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এঘটনায় উভয় পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ করছেন।
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বাসিন্দা জুয়েল মোল্লা জানান, তার মা হালিমা খাতুন স্ট্রোকে আক্রান্ত। গতকাল তাকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। তবে সিট না থাকায় তাকে ফ্লোরে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
তার মায়ের পাশের একটি সিটে চিকিৎসাধীন আছেন হাসপাতালের সিনিয়র ষ্টাফ নার্স শহিদুল ইসলামের এক নিকট আত্মীয়। তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিতে রোববার দুপুরে ওয়ার্ডে আসেন নার্স শহিদুল ইসলাম। তিনি প্রায় ১০ বার সেখানে আশা যাওয়া করেন। প্রতিবারই তিনি ফ্লোরে বিছানো তার মায়ের বিছানা জুতা দিয়ে মাড়িয়ে যায়।
জুয়েল আরও জানান, এক পর্যায়ে তার অসুস্থ মায়ের হাতেও পাড়া দেয় নার্স শহিদুল। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানালে শহিদুল সহকর্মীদের নিয়ে তাকে ও তার চাচীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ জুয়েল মোল্লার।
তবে পাল্টা অভিযোগ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত সিনিয়র ষ্টাফ নার্স শহিদুল ইসলামের। তিনি বলেন, তার এক স্বজন গুরুতর অসুস্থ। তার নাকে নল পরাতে হবে। চিকিৎসকের সাথে মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে গিয়েছিলেন তিনি। এসময় চিকিৎসাধীন অপর এক রোগীর দুই স্বজন তার সাথে অশ্লীল আচরণ করেন। তিনি এর প্রতিবাদ জানালে তাকে মারধর করা হয়।
এ ব্যাপারে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান শাহীন জানান, পুলিশের উপস্থিতিতে দুই পক্ষকে ডেকে মিমাংসা করে দেয়া হয়েছে। রোগীর স্বজনরা নিজেদের দোষ স্বীকার করে মুচলেকা দিয়েছেন।
Leave a reply