সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার চূড়ান্ত অবনতি হয়েছে। অভিনেতার স্নায়ু কাজ করছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা এনসেফ্যালোপ্যাথির সংক্রমণ বেড়েছে। খবর- সংবাদ প্রতিদিন।
দেশ ও বিদেশের স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। আগে থেকেই এনসেফালোপ্যাথির জটিল সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন অভিনেতা। সাড়া দিচ্ছে না মস্তিষ্ক। ক্রমশ বাড়ছে অস্বস্তি। তাই বর্ষীয়ান অভিনেতাকে ভেন্টিলেশনে দেওয়ার ভাবনা চিকিৎসকদের।
সৌমিত্রের মেডিকেল টিমের প্রধান অরিন্দম কর রোববার জানিয়েছেন, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ভালোভাবে কাজ করলেও অভিনেতার প্লেটলেটের সংখ্যা পড়ে গিয়েছে। একই সঙ্গে রক্তে ইউরিয়া ও সোডিয়ামের মাত্রা বেড়েছে। চিকিৎসকেরা কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছেন।
কী সেই কঠোর সিদ্ধান্ত তা নিয়ে খোলসা করেননি চিকিৎসকেরা। অরিন্দম বলেন, ৭২ ঘণ্টা আগে যেমন ছিল, তার থেকে সৌমিত্র বাবুর চেতনা কিছুটা কমে গিয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা কোনদিকে যাচ্ছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত নই। আমরা বিভিন্ন টেস্টের রিপোর্ট পেয়েছি। তা থেকে আমাদের অনুমান যে কোভিড এনসেফেলোপ্যাথি বাড়ছে।
মেডিকেল বোর্ডের সূত্র অনুযায়ী, সৌমিত্রের সাড়া দেওয়ার প্রবণতা গত ২৪ ঘণ্টায় ক্রমশ কমেছে। যত সময় যাচ্ছে আরও খারাপ হচ্ছে শরীর। গ্লাসগো কোমা স্কেলের সূচক ক্রমশ নিচের দিকে নামছে। কোনো ব্যক্তির মস্তিষ্কের স্নায়ু কীভাবে সাড়া দিচ্ছে, গ্লাসগো কোমা স্কেলে সেটা পরিমাপ করা হয়।
প্রসঙ্গত, সাধারণ মানুষের এই সূচকের মাত্রা হয় ১৫। কয়েক দিন আগেই সৌমিত্রর তা ৯ এ নেমে গিয়েছিল। সাধারণত মস্তিষ্কের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে এই মাত্রা কমতে থাকে।
Leave a reply