আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের মধ্যে শান্তি চুক্তির পরদিনই নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে শান্তিরক্ষী মোতায়েন করলো রাশিয়া।
মস্কো বলছে, দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে পুতিন প্রশাসন। যদিও এখনই অঞ্চলটিতে তুরস্কের শান্তিরক্ষী মোতায়নে নারাজ রুশ প্রেসিডেন্ট।
রাশিয়ার মধ্যস্থতায় সোমবার আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যে শান্তি চুক্তির পরই বিজয় উদযাপনে রাস্তায় নামে আজারবাইজানের বাসিন্দারা। বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে গেলো সেপ্টেম্বর থেকে সংঘাত শুরু হয় দুই দেশের মধ্যে।
অঞ্চলটিতে দীর্ঘ মেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিজেদের সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট পুতিন বলছেন, তাদের শান্তিরক্ষীরা কাজ করবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং পর্যবেক্ষণে।
পুতিন বলেন, অঞ্চলটিতে দুই দেশের সংঘাত সত্যিই অনেক বড় ট্রাজেডি। আমি চেয়েছি ছাড় দেয়ার মাধ্যমে রক্তক্ষয়ী সংঘাত থেকে সরে এসে একটি সমঝোতায় পৌঁছাবে দুই পক্ষ। মূলত আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের জনগণের জন্য দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
এদিকে, তুরস্ক বলছে অঞ্চলটিতে তাদের শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা হবে কি না তা নিয়ে আলোচনা চলছে। যদিও রাশিয়ার হুঁশিয়ারি, এখনই তুর্কিরা তাদের সেনা পাঠাতে পারবে না নাগোরনো-কারাবাখে।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলু বলেন, নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে যে চুক্তি হয়েছে তা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং পর্যবেক্ষণ করা হবে এটা নিয়ে আজারবাইজানের সাথে আলোচনা চলছে। পরবর্তীতে যে কোনো পরিস্থিতিতে আমাদের পরিষ্কার অবস্থান থাকবে আজারবাইজানের পক্ষে।
এদিকে, দুই দেশের শান্তিচুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে ইরান। এরইমধ্যে সংঘাতের কারণে অঞ্চল ছেড়ে যাওয়া হাজার হাজার মানুষ নিজ ভিটে মাটিতে ফিরতে শুরু করছে। এর আগে ১৯৯১ থেকে ৯৪ সাল পর্যন্ত দুই দেশের সংঘাতে প্রাণ যায় ৩০ হাজারের বেশি মানুষের।
ইউএইচ/
Leave a reply