ফাইজারের ভ্যাকসিন সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই অধিকাংশ দেশে!

|

ফাইজার এন্ড বায়ো-এন-টেকের করোনা ভ্যাকসিন বাজারে আসলেও বড় ধরনের চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে বণ্টন এবং সংরক্ষণ নিয়ে। এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বলেছেন, ভ্যাকসিনটি সংরক্ষণ করতে হয় মাইনাস ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়; যে সক্ষমতা নেই অনেক দেশে।

বিশ্বে দুই শতাধিক করোনার ভ্যাকসিন তৈরির কার্যক্রম চললেও তৃতীয় বা শেষ ধাপে রয়েছে মাত্র ১১টি। এরইমধ্যে দাবি করা হয়, মানব শরীরে ৯০ ভাগ কার্যকর ফাইজার এন্ড বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফাইজারের ভ্যাকসিনটি উৎপাদন থেকে মানব শরীরে প্রয়োগের আগ পর্যন্ত মাইনাস ৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে। যা সব দেশে বন্টনের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ।

বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টবি পিটার্স বলেন, বেশির ভাগ ভ্যাকসিন রাখা হয় ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়। তবে কিছু ওষুধ অতি ঠাণ্ডায়ও রাখতে হয়। কিন্তু আমার মনে হয় করোনার ভ্যাকসিন বিশ্বের সব দেশে দ্রুত সরবরাহ করার ক্ষেত্রে সবচে বড় চ্যালেঞ্জ হবে তাপমাত্রা। কারণ বেশিরভাগ দেশেই নেই মাইনাস ৮০ ডিগ্রি তামপাত্রায় ভ্যাকসিন রাখার ব্যবস্থা।

তথ্য বলছে, মাইনাস ৮০ ডিগ্রিতে রাখা তো দূরের কথা, বেশিরভাগ দেশের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। তাই ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বহু মানুষের। জরুরি ভিত্তিতে সক্ষমতা বাড়ানো এবং বিকল্প ব্যবস্থার ওপর তাগিদ দিয়েছেন এই বিশেষজ্ঞ।

টবি পিটার্স বলেন, যুক্তরাজ্য প্রাথমিক সংকট কাটাতে বিভিন্ন দেশের খাদ্য শিল্প সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করা যেতে পারে। কারণ তাদের হিমাগারে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের সামর্থ্য রয়েছে। সমস্যা সমাধানে দ্রুত সময়ে বিকল্পও ভাবতে হবে। তা না হলে দরিদ্র দেশগুলোতে ভ্যাকসিন বন্টন সহজ হবে না।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, সংরক্ষণ ব্যবস্থার অপ্রতুলতায় নষ্ট হতে পারে ফাইজার এন্ড বায়োএনটেকের ২৫ শতাংশ ভ্যাকসিন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply