জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) শওকত আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১৬ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক শোকবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
শোকবার্তায় শেখ হাসিনা ১৯৬৯ সালে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় শওকত আলীকে ২৬ নম্বর আসামি করা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে একসঙ্গে কারাবাস করার ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং সংসদীয় গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণে শওকত আলীর অবদান জাতি সব সময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। দেশ এক প্রবীণ জননেতাকে হারালো, আমি হারালাম বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন বিশ্বস্ত সহকর্মীকে।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
রোববার সকালে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শরীয়তপুর-২ আসন থেকে পাঁচবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত শওকত আলী। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। ব্যক্তিজীবনে তিনি দুই ছেলে ও এক কন্যার জনক। পাকিস্তান আমলে ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করা হয়েছিল, তাতে শওকত আলীকেও আসামি করা হয়। তিনি মুক্তি সংহতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন।
কিডনি, ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন শওকত আলী। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় গত ২৯ অক্টোবর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতলে (সিএমএইচ) ভর্তি হন তিনি। সেখানে বেশ কয়েক দিন ধরেই লাইফ সাপোর্টে ছিলেন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ।
Leave a reply