সিলেটে এক তরুণীকে ধর্ষণ এবং ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে দুই জনের বিরুদ্ধে গোয়াইন ঘাট থানায় মামলা দায়ের করেছেন এক নারী।
এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে।
মামলায় আসামি করা হয়েছে জাফলং পাথর কোয়ারীর চিহ্নিত চাঁদাবাজ আলিমুদ্দিন ও তার শ্যালক তাহের মিয়ার বিরুদ্ধে। রোববার রাতে মামলাটি দায়ের করেন। রাতেই ভুক্তভোগীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে পুলিশ। মামলার পর রাতেই তাহের মিয়াকে গ্রেফতার করলেও পলাতক রয়েছেন আলিমুদ্দিন। তাকে ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান।
ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেন, কয়েকদিন আগে তাহের মিয়া তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে
ভিডিও ধারণ করে। পরে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে
আরও একাধিকবার তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। সম্প্রতি তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ফেসবুকে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়। এ ঘটনার পর তাহের মিয়ার বোন জামাই জাফলং নয়াবস্তির আলিমুদ্দিনের কাছে বিচার দিতে গেলে আলিমুদ্দিনও তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে এবং গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলে, না হলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
তার স্বজনরা জানান, ইতোমধ্যে দুইবার আত্ম হত্যার চেষ্টা করেছে ভুক্তভোগী। অবশেষে স্থানীয়দের সহযোগিতায় রোববার রাতে গোয়াইনঘাট থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিত নারী। পলাতক আলিমুদ্দিন জাফলংয়ে একটি বাহিনী গড়ে তুলেছে। যে বাহিনীর মাধ্যমে পাথর কোয়ারীতে চাঁদাবাজি, সীমান্তে চোরাচালান ও ছিনতাইসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ইউএইচ/
Leave a reply