এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে তৃতীয় রাষ্ট্রপ্রধান নিয়োগ দিয়েছে পেরু। মঙ্গলবার ফ্রানসিসকো সাগাস্তিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির নেতৃত্ব দেবেন সেন্ট্রালিস্ট পার্পেল পার্টির এ নেতা। সূত্র: বিবিসি, রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড।
গত সোমবার প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভিজকারাকে ক্ষমতাচ্যুত করে বিরোধী দলের হাতে থাকা কংগ্রেস। ঘুষগ্রহণের অভিযোগে অভিশংসিত হন ভিজকারা। অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
তার এই ক্ষমতাচ্যুতি কেন্দ্র করে পেরুজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ চলাকালে অন্তত দুজন নিহত ও বহু প্রতিবাদকারী আহত হয়েছেন।
ভিজকারাকে সরানোর পর পেরুর অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন কংগ্রেসের স্পিকার মানুয়েল ম্যারিনো।
কিন্তু ম্যারিনোর বিরুদ্ধে চলা বিক্ষোভ দমনে পুলিশ শক্তি প্রয়োগ করলে পরিস্থিতি উল্টে যায়। পুলিশি নিষ্ঠুরতার প্রতিবাদে তার নবগঠিত মন্ত্রিসভার ১২ সদস্য পদত্যাগ করলে চাপে পড়ে যান ম্যারিনো।
সংকট মোকাবেলায় তার গৃহীত পন্থা নিয়ে আইনপ্রণেতাদের অসন্তোষ ও চাপে রোববার পদ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।
এরপর কংগ্রেসের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে পেরুর তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতাগ্রহণ করেন সাগাস্তি।
কংগ্রেসের যে একমাত্র দল ভিজকারার অভিশংসনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল তিনি সেই দলের লোক। প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ৬০ ভোট পাওয়ার পর তার ক্ষমতাপ্রাপ্তি নিশ্চিত হয়।
এই ভোটের আগে কংগ্রেস সদস্য আলবের্তো দে বেলাউন্দে বলেন, পেরুর জন্য মূল বিষয় হচ্ছে– স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা ও এই দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটানো।
Leave a reply