মডেলিংয়ের মধ্য দিয়ে অল্প বয়সেই ক্যারিয়ারের শুরু করেছিলেন সুস্মিতা সেন। তার বয়স যখন মাত্র ১৫ ছিলো তখন থেকে বিভিন্ন ফ্যাশন কনটেষ্টে অংশগ্রহণ করতেন। এরপর ১৯৯৪ সালে ১৯ বছর বয়সে ‘ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স’ খেতাব অর্জন করেন এবং ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতায় যাওয়ার সুযোগ পান সুস্মিতা সেন। একই বছর প্রথম ভারতীয় হিসেবে ‘মিস ইউনিভার্স’-এ সেরার মুকুট জয় করেন তিনি।
আজ ১৯ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সাবেক এই বিশ্বসুন্দরীর বয়সের ক্যালেন্ডারে যোগ হলো আরও একটা বছর। আজ সুস্মিতা সেনের ৪৪তম জন্মদিন।
জানেন কী ‘মিস ইউনিভার্স’-এর খেতাব জয় করার পরের বছরই অর্থাৎ ১৯৯৫ সালে জেমস বন্ড সিরিজের ‘গোল্ডেনআই’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন সুস্মিতা সেন? কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেন তিনি। এরপর ১৯৯৬ সালে ‘দাস্তাক’-এ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র দুনিয়ায় পা রাখেন সুস্মিতা সেন। কিন্তু বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে ছবিটি।
প্রথম ছবি ব্যবসাসফল না হলেও তার পরবর্তী হিন্দি সিনেমা ‘বিবি নাম্বার ওয়ান’-এ (১৯৯৯) তার অভিনয় মুগ্ধ করে দর্শকদের। এতে অভিনয়ের সুবাদে ফিল্মফেয়ার সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার ঘরে তোলেন সুস্মিতা। একই বছর মুক্তি পায় তার অভিনীত ‘সির্ফ তুম’। এই সিনেমার জন্যও পুরস্কার পান সুস্মিতা।
এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই অভিনেত্রীকে। ২৪ বছরের ক্যারিয়ারে ভক্তদের উপহার দিয়েছেন ফিজা, বাস ইতনা সা খোয়াব, ম্যায় হু না, ফিলহাল, ম্যায়নে পেয়ার কিউ কিয়া, আঁখে’র মতো ব্লকবাস্টার ছবি।
শুধু ভালো অভিনেত্রী নয়, আইটেম কন্যা হিসেবেও বেশ পরিচিতি সুস্মিতা সেন। তার অভিনীত ‘মেহবুব মেরে’ গানটি ছিল সে-সময়ের চার্টবাষ্টার গান।
২০০০ সালে ২৫ বছর বয়সে সিংগেল মাদার হিসেবে কন্যা সন্তান দত্তক নেন। ২০১০ সালে আরো একটি কন্যা সন্তান দত্তক নেন তিনি।
সুস্মিতা সেন বাঙালিকন্যা হয়েও বাংলা সিনেমায় তার অভিষেক হয়েছে অনেক পরে। ২০১৫ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘নির্বাক’। এরপর দীর্ঘ পাঁচ বছরের বিরতি নিয়ে ওয়েব সিরিজ ‘আরিয়া’র মধ্য দিয়ে রূপালি পর্দায় ফেরেন তিনি।
Leave a reply