ফেনী প্রতিনিধি:
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরদরবেশ গ্রামের ইউপি সদস্য আবু সুফিয়ানের ছেলে জিয়াউল হকের সঙ্গে বিবি জোহরা নামে এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে বিয়ের আশ্বাসে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। কিন্তু বিয়েতে সম্মতি প্রদান না করায় গত ২৭ মে সোনাগাজী থানায় জিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন ওই তরুণী।
পরে পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। তাকে জামিনে ছাড়াতে আইনজীবী ও স্বজনরা নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। গত ১ নভেম্বর বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে জামিন শুনানি হয়। শুনানিতে ওই তরুণীকে বিয়ের শর্তে জিয়াকে জামিন দেয়া হবে বলে জানানো হয়। আর এ বিয়ে আয়োজনের দায়িত্ব দেয়া হয় ফেনী জেলা কারা কর্তৃপক্ষকে।
আদেশে আদালত উল্লেখ করেন, বাদি ও বিবাদি পক্ষ রাজি থাকলে আদেশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করবে ফেনী জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ। এরপর বিষয়টি সম্পর্কে হাইকোর্টকে অবহিত করে প্রতিবেদন দেবে। বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়েছে- মর্মে কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা হলেই আদালত জামিনের আদেশ প্রদান করবেন।
সেই মোতাবেক আজ বৃহস্পতিবার ফেনী জেলা কারাগারে বিয়ের জাকঁজমক আয়োজন করা হয়। দুপুর ১২টায় কারাগারে বর ও কনেসহ দু’পক্ষের উপস্থিতিতে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়।
আইনজীবীরা জানান, কথায় কথায় আদালতে ধর্ষণের মামলা না করে আমাদের প্রতিকার দেয়া বাঞ্ছনীয়। এই বিয়ের ঘটনা বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যতে এ ধরণের মামলায় সিদ্ধান্ত নেবে আদালত বলে মনে করেন তারা। এই বিয়ের পরিণতির উপরও নজর রাখবে আদালত।
বিয়ে উপলক্ষে সকালে মিষ্টি নিয়ে দু’পক্ষের লোকজনসহ আইনজীবীরা কারা ফটকে হাজির হন। পরে বিয়ে পড়াতে আসেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামানসহ কাজী আবদুর রহিম। এ সময় ৬ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন।
Leave a reply