পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামে গোয়াল ঘর থেকে নাসরুল আলম হাওলাদার ওরফে নজরুল (৪৫) এর বস্তাবন্দী মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে দুপুরে পোস্টমর্টেমের জন্য পটুয়াখালীর ২৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনার মৃত নজরুলের স্ত্রী রিনা বেগমকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
নিহত নজরুল পেশায় একজন কৃষক এবং তিনি বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মৃত মোঃ ফজলুল হক হাওলাদারের ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, সপ্তাহ খানেক আগে নজরুল তার স্ত্রী সন্তানদের না জানিয়ে কিছু জমি বিক্রি করে ২থেকে ৩লাখ টাকা পেয়েছিলেন। যা নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে নজরুলের মনোমালিন্য চলছিল। এছাড়া ঘটনার পর থেকে তাদের বড় ছেলে পলাতক রয়েছে। তাকে আটক করতে পারলে ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে সকালে তার বসতঘরের পাশে গোয়াল ঘর থেকে বস্তাবন্দী লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরে বস্তা খুলে নজরুলের মৃতদেহ দেখতে পায়। এ সময় নজরুলের ঘাড়ের দুই তৃতীয়াংশ কাটা অবস্থায় পাওয়া যায়।
ওসি জসিম আরও জানান, প্রাথমিকভাবে নজরুলের স্ত্রী রিনা বেগমের কথাবার্তায় অসংলগ্নতা প্রকাশ পেলে তাকে থানা হেফাজতে নেয়া হয়। রিনা বেগমের বরাত দিয়ে ওসি জসিম জানান, রাত আনুমানিক ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তারা দুইজন স্বামী-স্ত্রী ঘুমিয়ে ছিল। ভোরে ফজলের নামাজ পড়তে উঠে দরজার পাশে রক্ত দেখতে পায় এবং তার স্বামীকে দেখতে না পেয়ে চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন এসে রক্তমাখা বস্তা দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
অপরদিকে সহকারী সিনিয়র পুলিশ সুপার (গলাচিপা-দশমিনা) সার্কেল মোঃ ফারুক হোসেন জানান, নজরুলের স্ত্রী খুব শক্ত প্রকৃতির মহিলা। পরিষ্কার ভাবে কোন কিছুই বলছেনা। সব প্রশ্নের উত্তর ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলছে। যে কারণে ঘটনার কারণ উদঘাটনে সময় লাগতেছে। এজন্য তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
Leave a reply