গোপনে বিয়ে করেছেন প্রভু দেবা

করোনা মাথায় নিয়েও গত কয়েক মাসে সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন বহু তারকা। সেই তালিকায় এবার নয়া সংযোজন প্রভু দেবা। মাস দুয়েক আগে এক ফিজিয়োথেরাপিস্টকে বিয়ে করেন তিনি। তবে পুরো ব্যাপারটা এতোটাই গোপনে সেরে ফেলেন যে, সংবাদমাধ্যম তো দূর, ইন্ডাস্ট্রির অনেকেও তা টের পাননি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

দীর্ঘদিন ধরে পিঠের ব্যথায় ভুগছিলেন প্রভু দেবা। চিকিৎসকদের পরামর্শে বেশ কয়েক মাস আগে এক ফিজিয়োথেরাপিস্টের কাছে যেতে শুরু করেন তিনি। অল্পদিনের মধ্যেই তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। তাই দেরি না করে সেপ্টেম্বরে বিয়ে সেরে ফেলেন তারা। তবে গোটা ব্যাপারটা গোপনেই সেরে ফেলেন।

মুম্বাইয়ে প্রভু দেবার বাড়ি ‘গ্রিন একর্স’ এ এই বিয়ের অনুষ্ঠান হয় বলে জানা গেছে। তবে ইন্ডাস্ট্রি থেকে বিশেষ কেউ আমন্ত্রিত ছিলেন না। বরং পরিবারের লোকজন ও হাতেগোনা কয়েক জন বন্ধু-বান্ধবের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়। নবদম্পতি এই মুহূর্তে চেন্নাইয়ে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

যদিও প্রভুদেবা বা তার পরিবারের কেউ বিয়ের কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করেননি। জনপ্রিয় এই তারকা নিজের এক আত্মীয়কে বিয়ে করতে চলেছেন বলে সম্প্রতি খবর ছড়ায়। সেই নিয়ে খোঁজখবর শুরু হলে অভিনেতার ঘনিষ্ঠ মহল থেকে বলা হয়, এসব ভুয়া খবর। এক ফিজিয়োথেরাপিস্টকে বিয়ে করেছেন প্রভু দেবা। তবে তিনি সম্পর্কে আত্মীয় নন।

ব্যক্তিগত জীবনে ওঠাপড়া নিয়ে বরাবরই খবরের শিরোনামে প্রভু দেবা। জনপ্রিয়তার শিখরে থাকাকালীন ১৯৯৫ সালে রামলতা ওরফে লতার সঙ্গে বিয়ে হয় তার। তাদের তিন সন্তানও হয়। ২০০৮ সালে প্রভুদেবার বড় ছেলের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। ছেলের মৃত্যুর পরই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে চিড় ধরে বলে শোনা যায়।

২০১০ সালে দক্ষিণী অভিনেত্রী নয়নতারার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান প্রভু দেবা। তা জানতে পেরে অনশনে বসার হুমকি দেন লতা। শেষমেশ ২০১১ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। পরে নয়নতারার সঙ্গেও সম্পর্ক ভেঙে যায়।