টি-টোয়েন্টি মানেই কী কেবল ব্যাটিং ঝড়? বোলাররাও যে এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ম্যাচের আলো কেড়ে নিতে পারেন সেটিই যেন আরও একবার দেখালো গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচের শুরুটা উড়ন্তই করলেই মোস্তাফিজ-শরীফুলরা। বেক্সিমকো ঢাকাকে ১৬.২ ওভারেই মাত্র ৮৮ রানে গুটিয়ে দিলো মোহাম্মদ মিঠুনের দল।
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই তোপ দাগান অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম কাণ্ডারি শরিফুল ইসলাম। ওভারের চতুর্থ বলে ২ রানে ফিরিয়ে দেন ঢাকার ওপেনার ও সতীর্থ তানজিদ হাসান তামিমকে। শরিফুলের ইনসুইং ডেলিভারিটি দেখেশুনেই খেলার চেষ্টা করেছিলেন তামিম কিন্তু তা আর হলো কই? বলটি এজ হয়ে চলে যায় স্লিপে দাঁড়ানো সৌম্য সরকারের হাতে। ম্যাচের চতুর্থ ওভারে আবারও শরীফুলের আঘাত। এবার শূন্য রানে ফেরালেন সাব্বির রহমানকে। হাফভলি বল পেয়ে বাউন্ডারি হাকানোর নেশা পেয়ে বসে সাব্বিরকে। কিন্তু শর্ট কাভারেই শামসুর রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে পাততাড়ি গুটালেন।
পঞ্চম ওভারের একেবারে প্রথম বলেই স্পিনার নাহিদুলকে রিভার্সে খেলতে গিয়ে শূন্য হাতে ফেরেন ঢাকার সেনাপতি মুশফিকুর রহিম। অষ্টম আকবর আলীকে ১৫ রানে ক্লিন বোল্ড করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আসা-যাওয়ার মিছিলে মনোযোগ হারিয়েই কিনা সেই ওভারেই মোসাদ্দেকের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ওপনে নেমে ব্যাটিং ঝড় তোলা নাঈম শেখ। ২৩ বলে ৩ চার ও ৩ ছয়ে ৪০ রান করেছিলেন তিনি।
এরপর আবু হায়দার, শাহাদাত হোসেন, মুক্তার আলীরা আর কিছু করতে পারেননি। নাঈম শেখের বিদায়ের পর মাত্র ২২ রানেই শেষ ৫ উইকেট হারায় ঢাকা। চট্টগ্রামের ৬ বোলারের সবাই দেখা পান উইকেটের। এদের মধ্যে শরীফুল, মোস্তাফিজ, মোসাদ্দেক, তাইজুল নেন দুটি করে উইকেট। সৌম্য সরকার আর নাহিদুল ইসলামও ফেরেননি খালি হাতে। এক তাইজুল ছাড়া বাকি সবারই ইকোনমি রেট দেখলে মনে হতে পারে এ বুঝি কোনো টেস্ট ম্যাচ। কে বলে টি-টোয়েন্টি বোলারদের খেলা নয়?
Leave a reply