আশাহত হয়ে পাকিস্তান ফিরে যাচ্ছেন মোদি সরকারের আমলে ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার আশায় পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু ও শিখ শরণার্থীরা। করোনার কারণে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি ও নাগরিকত্ব সম্পর্কিত নানা ঝামেলার কারণে তারা এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বলে জানা যায়। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দি ইকোনোমিক টাইমস’র।
বৃহস্পতিবার পাক-ভারত সীমান্ত ওয়াগাহ বর্ডার দিয়ে ২৪৩ জন পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
তবে ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, যেসব হিন্দু ও শিখ নাগরিক ভারতে দীর্ঘমেয়াদি ভিসায় বসবাস করছে এবং যারা দীর্ঘমেয়াদী ভিসার জন্য আবেদন তাদেরকে সংশ্লিষ্ট এফআরআরও/এফআরও থেকে পাকিস্তান ফিরে যাওয়ার সনদ নিতে হবে।
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের ওমরকোট জেলা থেকে ভারতে আসা ৩৭ বছর বয়সী শ্রীধর জানান, মোদি সরকারের নাগরিকত্ব আইন থেকে সুবিধা পাওয়া যাবে মনে করে ভারতে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু এখন তিনি অপেক্ষার প্রহর শুধু দীর্ঘতর-ই হতে দেখেছেন, ফলে পাকিস্তান ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শ্রীধর বলেন, আমি আমার স্ত্রী ও সন্তানের ভিসা পাওয়ার জন্য গত চার বছর ধরে যোধপুরে ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস ও নয়াদিল্লীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে ছুটাছুটি করেছি। এখন আমি আশা ছেড়ে দিয়েছি এবং পাকিস্তান ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সিএএ-তে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা অমুসলিমদের সহজে নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলা হলেও বাস্তবে তা প্রয়োগ করার কোন লক্ষণ দেখতে পাচ্ছেন না এসব ব্যক্তিরা।
পাকিস্তানের সিন্ধুর হায়দ্রাবাদ থেকে আসা মিঠুন বলেন, আমরা আরও ভালো থাকার উদ্দেশ্যে ভারতে এসেছিলাম। কিন্তু কোন লাভ হয়নি, বরং করোনার কারণে আমার পরিবার আর্থিক সংকটে পড়েছে। একারণে আমরা আবার পাকিস্তানে ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
পাকিস্তান ফেরত যেতে ইচ্ছুক এসব নাগরিকরা জানান, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের তদন্তকারী কর্মকর্তারা তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করেছে। ফলে এখানে তাদের দুর্দশার পরিমাণ আরও বেড়েছে।
ভারত সরকার করোনার কারণে এসব ব্যক্তিদের ভিসার মেয়াদ বাড়ালেও তাদের চলাচলের উপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, ফেরত যেতে ইচ্ছুক এসব পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য সড়ক পথে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
Leave a reply