জার্মানিতে তৈরি হচ্ছে ইউরোপের সর্ববৃহৎ থ্রিডি প্রিন্টেড বাড়ি। মাত্র তিনতলা ভবন হলেও নির্মাণ প্রক্রিয়ায় ভিন্নতার কারণেই নজর কাড়ছে বাড়িটি। দক্ষ কর্মীর সংকটের মধ্যে কম লোকবল; সাধারণ পদ্ধতির চেয়ে দ্রুত নির্মাণকাজ; এবং পরিবেশবান্ধব আর বৈচিত্র্যময় নকশা ভবনটির বিশেষত্বে যোগ করেছে নতুন মাত্রা।
ব্যাভারিয়ার একটি গ্রামে তৈরি হচ্ছে ৩৮০ বর্গমিটার আয়তনের এই বাড়িটি। তিন তলা ভবনে থাকবে পাঁচটি অ্যাপার্টমেন্ট। এটি নির্মাণে কংক্রিটের পুরো কাজটিই হচ্ছে ড্যানিশ প্রতিষ্ঠান কোবডের তৈরি বিশাল থ্রি-ডি প্রিন্টারে।
স্তরের পর স্তরের কংক্রিট স্বয়ংক্রিয়ভাবে বসিয়ে যাচ্ছে যন্ত্রটি। জার্মান কনস্ট্রাকশন সাপ্লায়ার প্রতিষ্ঠান পেরি’র তত্ত্বাবধানে, ভবন নির্মাণ নীতিমালা মেনে ভবনের নকশাতেও যোগ করা হয়েছে বৈচিত্র্য।
পেরি’র মুখপাত্র ফেবিয়ান মেয়ের-ব্রোয়েৎজ বলেন, “জার্মানিতে ভবন নির্মাণের কঠোর শর্ত পূরণে সক্ষম এই প্রিন্টার। শব্দ-দূষণ না করে শক্তির নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার নিশ্চিত করে এটি দিয়ে যেকোনো আকৃতির ভবন তৈরি করা সম্ভব।”
কংক্রিটের সঠিক মিশ্রণ তৈরিতে নির্দেশনা আসে কম্পিউটারের মাধ্যমে। এরপর পাইপিং ব্যাগ দিয়ে কেক সাজানোর মতো করেই টিউব দিয়ে চলে কংক্রিট বসানোর কাজ। যন্ত্রের কাজ হলেও তা এতোটাই সূক্ষ্ম যে গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ আর বর্জ্য নিষ্কাশন লাইনের জন্য জায়গা রেখেই বসছে কংক্রিট। ন্যূনতম লোকবলে দারুণ দ্রুততায় এগোচ্ছে কাজ।
রাপ বড্রাকের প্রধান নির্বাহী ফেবিয়ান রাপ জানান, “এ ধরনের মাল্টি-অ্যাপার্টমেন্ট ভবন তৈরিতে সাধারণত মাঠ পর্যায়ে আমাদের পাঁচজন লোক থাকতেই হয়। কিন্তু এই ভবনের ক্ষেত্রে দু’তিনজন লোক লাগছে। নিচতলা তৈরিতে সাধারণত পাঁচজন লোকের পাঁচদিন লাগতো। কিন্তু প্রিন্টার দিয়ে দু’জন লোক নিচতলা তৈরি করেছে মাত্র ২৫ ঘণ্টায়।”
নির্মাণশিল্পে নতুন এ প্রযুক্তি নিয়মিত ব্যবহারের পথে একমাত্র বাঁধা খারাপ আবহাওয়া। তাপমাত্রা শূন্য বা এর নিচে চলে গেলে কাজ করে না এই থ্রিডি প্রিন্টার।
Leave a reply