রাজশাহী ব্যুরো:
আট বছর সাজাভোগ করার পর কারাফটকেই ধর্ষণ মামলার আসামির সাথে বিয়ে হলো ভুক্তভোগী নারীর। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিল তাদের শিশুপুত্রও। এ সময় কনেকে শাড়ি কিনে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ, করায় মিষ্টিমুখও।
ঘটনাস্থল রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার। হাইকোর্টের নির্দেশে শনিবার দুপুরে কারাগারের ভেতরে বন্দী দিলীপ খালকোর সাথে ভুক্তভোগী সেই নারীর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
বিয়ের জন্য কনেসহ দুই পরিবারের ১৪ জন কারাগারে উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন এই দম্পতির ৮ বছর বয়সী ছেলে। আনুষ্ঠানিকতায় নিবন্ধন বইতে বর-কনের স্বাক্ষর নেন হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রার। তারপর পুরোহিত তাদের দু’জনকে তিনবার মালাবদল করান। নারীরা দেন উলুধ্বনি, কনের মাথায় দেয়া হয় সিঁদুর, হাতে পরানো হয় শাখা। পরে সিনিয়র জেল সুপার কনেকে একটি নতুন শাড়ি উপহার দেন ও দুই পরিবারের সবাইকে মিষ্টিমুখ করান।
জানা গেছে, আসামি দিলীপ কুমার এবং ঐ নারী সম্পর্কে খালাতো ভাই-বোন। তারা প্রেমের এক পর্যায়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এতে ১৪ বছর বয়সী ভুক্তভোগী গর্ভবতী হয়ে পড়লে দিলীপ বিয়েতে অমত করে। ভুক্তভোগী ২০১১ সালের ২৫ অক্টোবর গোদাগাড়ী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করে। ২০১২ সালের ১২ই জুন আদালত দিলীপ খালকোকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
২০১২ সালে ভুক্তভোগী পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। এরপর পার হয় ৮ বছর। চলতি বছর সমঝোতা হয় দুই পরিবারের। আবেদনের পর কনের সম্মতিতে আদালত বিয়ের আদেশ দেন।
নববিবাহিত বধূ আশা প্রকাশ করে বলেন, বিয়ের কাগজপত্র উচ্চ আদালতে গেলে জামিন পেতে পারেন দিলীপ খালকো।
Leave a reply