বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ শুরুর আগে নিজেদের প্রথম অনুশীলনে মুশফিকুর রহিম গণমাধ্যমকে বলেছিলেন এই টুর্নামেন্টে তার প্রাথমিক টার্গেট দলকে সেরা চারে রাখার। তবে, টুর্নামেন্টের শুরুতে ঢাকার পারফরমেন্সে হতাশা ছাড়া আর কিছুই ছিল না। বড় বাজেটের দল হলেও তার প্রমাণ মাঠে দিতে ব্যর্থ হচ্ছিল তারা।
সেই ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে দলকে ধীরে ধীরে বের করে এনেছেন মুশি। অন্যরা যখন হতাশ করেছেন তখন একাই দলের হাল ধরেছেন মুশফিকুর রহিম। বলতে গেলে একেবারে নীরবেই রান করে গেছেন। ঢাকার অবস্থানকে করেছেন মজবুত। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত মুশফিক খেলেছেন ৬টি ম্যাচ সেখানে সব মিলিয়ে মুশফিকের রান ২১১ যা এই টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। গড় হিসেব করলে ৫২ দশমিক ২৫। আর স্ট্রাইক রেট ১১৫।
রবিবার চট্টগ্রামকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবেলির তিনে উঠে গেছে ঢাকা। এই কাজটি খুব সহজ ছিল না ঢাকার কাছে। টানা জয়ের ধারা ধরে রেখে, চাঙ্গা মনভাব নিয়ে চট্টগ্রামের বোলাররা যখন ধসিয়ে দিচ্ছেলেন ঢাকার ব্যাটিং লাইনআপ তখনই দেয়াল হয়ে সামনে দাঁড়ান মুশি। মোস্তাফিজ, শরীফুলদের মাটিতে নামিয়ে ব্যক্তিগত ৭৩ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন মুশফিকুর রহিম। ৯১ মিনিট ক্রিজে থেকে খেলেছেন ৫০ বল। ৭ চার আর ৩ ছয়ে ৭৩ রান নিয়ে অপারাজিত ছিলেন টাইগার ক্রিকেটের নির্ভরতার প্রতীক।
এর আগে, টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে রাজশাহীর সাথে মাত্র ২ রানের নাটকীয় পরাজয় থেকে দলকে বাঁচাতে পারেনি মুশফিক। ব্যাট হাতে রান করেছিলেন ৪১, বল খেলেছিলেন ৩৪টি। দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রামের কাছে ৯ উইকেটের লজ্জার হারের স্বাদ গ্রহণ করতে হয়েছিল মুশফিকদের। সেই ম্যাচে মিস্টার ক্যাপ্টেনের ব্যাট থেকে এসেছিলো শুন্য রান। খুলনার বিপক্ষে আবার রানে ফেরেন মুশি। ব্যাট হাতে ৩৭ রান করলেও হার এড়াতে পারেননি এই ব্যাটসম্যান। পরের ম্যাচেও মুশফিক করেছিলেন ৩৭ রান। এই ম্যাচে অবশ্য জয়ে ফেরে ঢাকা। আর চট্টগ্রামের সাথে আজকের ম্যাচেও ৭৩ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক সেটা এখন সবারই জানা।
সাকিব-রিয়াদরা যখন রানে ফিরতে পারছেন না তখন ঠিকই নিজেকে ধীরে ধীরে মেলে ধরছেন ঢাকার রাজপুত্র মুশফিকুর রহিম। সেই সাথে উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে ঢাকাকে সেরা চারে রাখার দায়িত্ব কিন্তু ঠিকই পালন করেছেন টাইগারদের সাবেক ক্যাপ্টেন। সামনে থেকেই দলকে এগিয়ে নিতে দারুণ ভূমিকা রাখছেন। এখন দেখার বিষয়, শেষ পর্যন্ত মুশফিকের ব্যাটে ভর করে কতদুর যেতে পারে ঢাকা?
Leave a reply