অবশেষে দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর কাতারের সাথে সম্পর্কের বরফ গলছে ৪ আরব দেশের। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় সৌদি জোটের অবরোধ প্রত্যাহার করা হচ্ছে কাতারের ওপর থেকে। এরইমধ্যে রিয়াদের সাথে আলোচনাতেও বসে দোহা। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার পরিবর্তনের পাশাপাশি নিজেদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আবারও কাতারের সাথে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করছে সৌদি জোট।
ইরান ও মুসলিম ব্রাদারহুডকে সমর্থন এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের অভিযোগে ২০১৭ সালের ৫ জুন কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি জোটভুক্ত ৪ দেশ। অবরোধ আরোপ করা হয় কাতারের ওপর। এরপরই দেশগুলো থেকে কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করে নেয় দোহা।
উপসাগরীয় বিষয়ক বিশ্লেষক মোহাম্মদ আল কুবাইবান বলেন, ইতিবাচক কোনো সিদ্ধান্ত বা সমঝোতা না হলে দুই পক্ষ আলোচনার টেবিলে বসতো না। আসলে আরব দেশ এবং কাতারকে একই ধরণের অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়। তাই সেসব সংকট সমাধানে নিজেদের স্বার্থেই কাছাকাছি হচ্ছে কাতার এবং ছয় আরব দেশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আরব দেশগুলোর এ সংকট সমাধানে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতার পরিবর্তন। নির্বাচনে জো বাইডেন জয়ী হওয়ায়, মধ্যপ্রাচ্যে পাল্টেছে মার্কিন নীতি।
কাতার ইউনিভার্সিটির গাল্ফ স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালক মাহজুব জুয়েইরি বলেন, বিশ্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতার পালাবদল এখানে বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছে। জো বাইডেনের নির্বাচনে জয়, কাতার-আরব দেশগুলোর সমঝোতায় বড় ভূমিকা রেখেছে। এটা স্পষ্ট যে মার্কিন রাজনীতির প্রভাব আরব কূটনীতিতে বড় প্রভাব রাখছে।
তবে আবারও সংকটের শঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশ্লেষকরা।
কুইন্সি ইনস্টিটিউটের রিসার্চ ফেলো অ্যানেলি শেলিন বলেন, ইরানকে সহায়তার অভিযোগ ছিলো কাতারের বিরুদ্ধে। তেহরান ইস্যুতে দোহা মত পরিবর্তন করেছে কি না সেটা স্পষ্ট না। এমনকি তুরস্কের সামরিক অবস্থান নিয়ে আরবদের আপত্তির বিষয়েও কোনো জবাব আসেনি কাতারের তরফ থেকে। এসব সংকটগুলোর সুরাহা না হলে সংকটের স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।
কাতারের সাথে সৌদি জোটের সম্পর্ক পুন:স্থাপনের বিষয়টিকে এরইমধ্যে স্বাগত জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত একং কুয়েত।
Leave a reply