পাড়ার ফুটবল আর নয়, পেশাদার কাঠামো আসবে এবার দেশের ফুটবলে। বিজয়ের ৫০-তম বছরে এসে এমন উপলব্ধি বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনের। ব্যর্থতা মেনে নিয়ে বললেন, ভালো নেই দেশের ফুটবল। সরকার, ক্লাব আর ফুটবলপ্রেমীদের সহযোগিতা ছাড়া এই অবস্থা থেকে মুক্তি সম্ভব নয় বলেও মানছেন একযুগ বাফুফের মসনদে থাকা কাজী সালাহউদ্দিন।
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অবদান ফুটবলের। অথচ যুদ্ধ জয়ের ৪৯ বছর পর মুক্তির রণাঙ্গনের হাতিয়ার সেই খেলাটির এখন জীর্ণ বেহাল দশায়।
বললেন, আমাদের এই পাড়ার খেলা থেকে বের হতে হবে। আন্তর্জাতিক মানের ফুটবল খেলতে হবে।
স্বাধীন দেশের প্রথম দিন থেকেই ফুটবলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা সেই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্য কাজী সালাহউদ্দিনের। কিংবদন্তী ফুটবলার, কোচ, সংগঠক সব পরিচয়েই ছিলেন তিনি ফুটবলের সঙ্গে। বাফুফের শীর্ষ পদে এক যুগ পার করে পা রেখেছেন চতুর্থ মেয়াদে। কিন্তু তার মেয়াদেই সবচেয়ে বাজে সময় পার করেছে জাতীয় দল। তাহলে এই ব্যর্থতার দায় কার?
কাজী সালাহউদ্দিন বলেন, আমার যা ইচ্ছা ছিল তা হয়নি। আমার সময় হয়নি, আগেও হয়নি। ফুটবল ফেডারেশন একা কখনও পারবে না। সরকারের সর্বাত্মক সহায়তা পেলেই এটা সম্ভব।
তবুও স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন কাজী সালাহউদ্দিন। বিজয়ের সূবর্ণ জয়ন্তীর সময়টিতে লাল-সবুজ দলকে করতে চান দক্ষিণ এশিয়ার সেরা। জানালেন, আমরা দক্ষিণ এশিয়াতে যদি সম্মানজনক দল হতে পারি তাহলে এশিয়ার বহু দেশের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারবো। এটাই এখন লক্ষ্য।
তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বিশ্বে, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। সেটি মনে রেখে সঠিক নেতৃত্বে ব্যর্থতার চাদর ঝেড়ে ফেলুক ফুটবল। বিজয়ের মাসে এটাই হতে পারে প্রত্যয়।
Leave a reply