বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার (বিওয়াইএলসি) আয়োজিত ভার্চুয়াল ইয়ুথ কার্নিভাল ২০২০ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এমজেএফ এবং ইউকে সরকারের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও)’র সহযোগিতায় কার্নিভালটি ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ১৫-৩০ বছর বয়সী প্রায় পাঁচ হাজার তরুণ অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারী তরুণদের মাঝে সমৃদ্ধি, ন্যায়বিচার এবং সম-অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে নেতৃত্বের গুণাবলীর পাশাপাশি নাগরিক দায়িত্ব পালনেও অনুপ্রাণিত করতেই মূলত এই কার্নিভালটির আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার (বিওয়াইএলসি) আয়োজিত ‘ভার্চুয়াল ইয়ুথ কার্নিভাল ২০২০’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের প্রশংসা করে আলোচকরা বলেন, মহামারি চলাকালীন সংকট মোকাবিলায় ও সামাজিক সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তরুণরা। তাছাড়া কীভাবে টেকসই পরিবর্তন প্রক্রিয়ায় তরুণরা অংশগ্রহণ করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন তারা।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ সংকট উত্তরণে তরুণরা এগিয়ে এসেছে এবং সমাজের সমৃদ্ধির জন্য কাজ করেছে। এখন আমাদের সময় তরুণ সমাজকে আত্মনির্ভরশীল আর স্বাবলম্বী করে তোলা। যাতে তারা সমাজ পরিবর্তনে আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জাতি পুনর্গঠনে তরুণ প্রজন্মের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, কোভিড -১৯ এর সময় বাংলাদেশের তরুণরা সমাজ পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তাই কোভিড-১৯ পরবর্তী আমাদের জাতীয় উন্নয়নে তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।
কার্নিভালের আলোচকরা সামাজিক সমস্যা সমাধানে বিশ্লেষণধর্মী ভাবনা, সৃজনশীলতা, সমস্যা
সমাধান, টিমওয়ার্ক ও যোগাযোগ দক্ষতার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। তাছাড়া, জীবনের লক্ষ্য অর্জনের নিয়মানুবর্তী হওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আলোচনা করেন তারা।
কার্নিভালে ক্রিটিক্যাল থিংকিং এবং এর তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেছেন অনলাইন প্রশিক্ষক এবং বোস্টন বৈজ্ঞানিক করপোরেশনের গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকৌশলী চমক হাসান।
তিনি বলেন, ক্রিটিক্যাল থিংকিং হলো আমাদের চারপাশ থেকে পাওয়া তথ্যগুলো প্রসেস করা এবং সেখান থেকে অবজেক্টিভ সিদ্ধান্ত নেওয়া। মূলত এমন সিদ্ধান্ত যা কোনো ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীল নয়।
হেড অব ইনোভেশন, ডিটিএসি, থাইল্যান্ড’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মির্জা সালমান হোসেন বেগ তরুণদের উদ্দেশে বলেছেন, নিজের কম্ফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে এসে তরুণদের প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শিখতে হবে, তাহলেই জীবনের অনিশ্চয়তাগুলো সহজে মোকাবিলা করা সম্ভব।
কার্নিভালে অংশগ্রহণকারীরা বর্তমান সমাজে তরুণদের প্রভাব, বাধাসমূহ উত্তরণ ও মাইলফলক তৈরি, জাতির পুনর্গঠনে তরুণদের অংশগ্রহণ ও সংকটাপন্ন অবস্থায় নেতৃত্ব চর্চাসহ ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেছেন।
মালয়েশিয়ার ইয়ুথ হাবের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি পাভেল সরোয়ার তার সেশনে বলেছেন, আমি বাংলাদেশের একটি ছোট শহর থেকে শুরু করেছিলাম এবং বর্তমানে একটি সফটওয়্যার
সংস্থা এবং মালয়েশিয়ার যুব সংগঠনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ইংরেজিতে দক্ষ না হওয়া বা নির্দিষ্ট
কিছু দক্ষতা না থাকা সত্ত্বেও আমি পরিবর্তনে অবদান রাখতে পেরেছি, কারণ আমি যা পছন্দ করি তা নিয়ে কাজ করেছি এবং নিজের লক্ষ্যে অবিচল থাকতে পেরেছি।
কার্নিভালে আলোচকদের মধ্যে ছিলেন সংগীতশিল্পী ও কেটো ভাইয়ের প্রতিষ্ঠাতা মাশরুর রাব্বি ইনান, চেভেনিং ২০২০ স্কলার কাজী জাওয়াদ, টেক একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা শামস জাবের এবং আরও অনেকে।
Leave a reply