বাগেরহাট প্রতিনিধি:
মোংলা পোর্ট পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব মো. জুলফিকার আলীর প্রচারণায় বাধা, হামলা, মারধর ও নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত মালামাল ছিনিয়ে নেয়ার পাশাপাশি কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার দুপুরে পৌর শহরের মাদরাসা রোডস্থ মেয়র প্রার্থী জুলফিকার আলী তার বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততোই প্রতিপক্ষরা আমার কর্মীদেরকে মারধর করছে, মাইক ও সেট ভাঙচুর করা হচ্ছে, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে, কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভাঙচুর করছে। রোববার রাতে রাজ্জাক সড়কে হাজী আলমের বাড়ি, বাহারউদ্দিন সড়কে টুটুলের বাড়ি ও মুসলিম পাড়ার জাকিরের বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রত্যেক কর্মীর বাড়িতে গিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। সোমবার সকালে পৌর শহরের খোজেরডাঙ্গা এলাকায় ভোট চাইতে যাওয়া তার চার নারী কর্মীকে বেদম মারপিট করে এবং তাদের কাছে থাকা সোনার গহনা ও মোবাইল ফোনসহ সকল মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তাদের পরিহিত কাপড়চোপড়ও ছিঁড়ে ফেলে রক্তাক্ত জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এর আগে রোববার রাতে মাদরাসা রোডে তার কর্মী কালু, রনি বাবুল ও শহীদকে মারধর করে তাদেও সাথে থাকা সর্বস্ব ছিনিয়ে নিয়ে গেছে প্রতিপক্ষের লোকজনেরা। নির্বাচনকে ঘিরে পৌরসভার বাহিরের লোকজন বিশেষ করে এখানকার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও আশপাশের উপজেলার মানুষ এসে ভয়ভীতি, হুমকি-ধমকি, মারপিটসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করছে। বাহিরের লোকজন এখানকার ভোটারদের বাড়ি গিয়ে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য ভীতি প্রদর্শন করছে।
তিনি আরও বলেন, আমি ভয় পাচ্ছি, অতি সত্ত্বর যদি র্যাব, পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও বিজিবি আগে ভাগে মাঠে না নামানো হয় তাহলে ভোটার ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তিনি দুই একদিনের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মাঠে নামানোর জন্য নির্বাচন অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের সহায়তা কামনা করেছেন।
মেয়র প্রার্থীর কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় আহত নারী কর্মীদের দেখতে এবং ঘটনার তদন্তে গিয়ে মোংলা-রামপাল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আসিফ ইকবাল বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত শেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইউএইচ/
Leave a reply