একেই বলে ‘রাজসিক প্রত্যাবর্তন’; আরও সরাসরি বললে রাজার মতো ফিরে আসা। একে তো নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা, সঙ্গে দেশের মাটিতে শততম ওয়ানডে। সাকিব রীতিমতো স্মরণীয় করে রাখলেন দিনটিকে। ৭.২ ওভারে তুলে নিলেন উইন্ডিজ অধিনায়কেরটিসহ ৪টি উইকেট। ২টি মেডেন ওভার। রান দিলেন মাত্র ৮!
নিজের প্রথম ওভারে একটুর জন্য মেলেনি উইকেট, পরেরটিতেই সাকিব আল হাসান পেলেন সাফল্য। বোল্ড করে দিলেন আন্দ্রে ম্যাককার্থিকে। বাঁহাতি স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল সুইপ করতে চেয়েছিলেন ম্যাককার্থি। লাইনে যেতে পারেননি, স্টাম্পে আঘাত হানে বল। ৩৪ বলে ১ চারে ১২ রান করেন ম্যাককার্থি।
এরপর একে একে তুলে নেন জেসন মোহাম্মদ, বোনার ও জোসেপের উইকেট। সাকিবের একেকটি বল যেন দুর্বোধ্য হয়ে উঠছিল ক্যারিবীয়দের কাছে। দুটি উইকেট লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে নিয়েছেন, অপরদুটি নিয়েছেন সরাসরি বোল্ড করে দিয়ে। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে জোসেপকে যেভাবে বোকা বানিয়ে বোল্ড করেছেন সেটি ভক্তদের চোখে লেগে থাকবে অনেকদিন। সতীর্থরা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের তারিফ করতে কার্পণ্য করেনি এতটুকু। ৩২.২ ওভারে উইন্ডিজকে গুটিয়ে দিয়ে সাকিবই তাই উদযাপনের মধ্যমনি।
অবশ্য, পেস বোলারদের কাছ থেকে দারুণ সমর্থন পেয়েছেন সাকিব। বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনের শুরুতে উইন্ডিজের উইন্ডিজের দুর্গে প্রথম আঘাত হানেন ছন্দে থাকা মোস্তাফিজ। ৬ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন ফিজ। আর ৬ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক ম্যাচটিকে রাঙিয়ে রাখলেন তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ।
Leave a reply