আন্তর্জাতিক প্রত্যাবর্তনটা মধুর করে তুললেন টাইগার বোলাররা

|

উইকেট ও আবহাওয়ার কথা চিন্তা করে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না সেটি প্রমাণিত হলো উইন্ডিজের ব্যাটিং লাইনআপ এভাবে ধসে পড়ায়। উইন্ডিজের ব্যাটাররা যে বাজে খেলে উইকেট হারিয়েছে সেটা কিন্তু নয় বরং টাইগারদের বোলারদের ধাঁরালো বোলিংয়ে উইকেট দিতে বাধ্য হয় সফরকারীরা।

এই ম্যাচে অভিষেকেই বাজিমাত করেছে তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ। সেই সাথে দ্যা কিং অব টাইগার্স সাকিব আল হাসান, বল হাতে নিজেকে তুলে ধরেছেন রাজার মতোই। যদিও বৃষ্টির বাঁধায় ম্যাচ কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল, তারপরও মাঠে নেমেই বিধ্বংসী রূপে ফিরেছে টাইগার বোলাররা।

সেই হিসেবে বলাই যায় নিজের প্রথম অ্যাসাইনমেন্টে এখন পর্যন্ত সফল টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফিল্ডিং করতে নেমে উইন্ডিজ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মাশরাফীর দায়িত্ব কাঁধে নেওয়া মোস্তাফিজ। ওপেনার সুনীল এ্যামব্রিসকে ৭ রানে এলবির ফাঁদে ফেলে পথ দেখান প্যাভিলিয়নের। আরেক ওপেনার সিলভাকে বেশ আত্মবিশ্বাসী মনে হলেও লিটন দাসের অসাধারণ ক্যাচে মাত্র ৯ রানেই ফিরতে হয় তাকে। এবারও বোলারের নাম মোস্তাফিজ।

এরপরেই শুরু হয় এক বছর পরে মাঠে নামা সাকিবের ধামাকা। ব্যক্তিগত ১২ রানে আন্দ্রে ম্যাকার্থিকে ফিরিয়ে সফরকারীদের কম রানে আটকে রাখার আভাস দেন টাইগার ক্রিকেটের রাজপুত্র। একে একে জেসন মোহাম্মদ, জোসেফ ও বোনারকে তুলে নিয়ে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন করেন সাকিব। ৭.২ ওভার বল করে মাত্র ৮ রান দিয়ে সাকিব নেন ৪ উইকেট!

অভিষেকেই বাজিমাত করা পেস বোলার হাসান মাহমুদও ভুগিয়েছেন উইন্ডিজ ব্যাটারদের। পাওয়েল, রাইমেন ও অ্যাকেল হোসেইনকে ফিরিয়ে দিয়ে গোটা দেশকে আনন্দে মাতান এই বোলার। ৬ ওভার বল করে মাত্র ২৮ রান দিয়ে নিজের ঝুলিতে ভরেন তিন উইকেট। একটি উইকেট নিয়েছেন মেহেদি মিরাজ।

শেষ পর্যন্ত টাইগার বোলারদের দাপটে মাত্র ১২২ রানেই অল আউট হয় উইন্ডিজ। জবাবে ১২৩ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করছে বাংলাদেশ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply