মিয়ানমারের রাখাইন থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা উদ্ভাস্তুদের জন্য খাবার সরবরাহ করছেন বান্দরবান ও কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষ। এলাকাবাসী যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী শুকনা বা রান্না করা খাবার আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য নিয়ে আসছেন। বিজিবি সদস্যদের কড়া পাহারার মধ্যে উদ্ভাস্তুরা সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন।
আশ্রয়প্রার্থীদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। রাখাইন থেকে যাত্রাপথে গত তিন দিন ধরে অনেকে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। তবে বাংলাদেশে ঢুকে স্থানীয়দের কাছ থেকে খাদ্য সহায়তা পেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করতে পারছেন তারা।
রাখাইনে গত শুক্রবার রাতে পুলিশের ৩০টি চেকপোস্টে একযোগে হামরার ঘটনা ঘটে। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর ১২ সদস্য নিহত হন। বহু দশক ধরে জাতিগত নির্মূলচেষ্টার শিকার রোহিঙ্গাদের বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি এই হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
হামলার পর মিয়ানমারের সেনা ও পুলিশ মিলে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকায় যৌথ অভিযান শুরু করেছে। এতে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৮৪ জন রোহিঙ্গা মুসলিম মারা গেছেন। ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে কয়েক হাজারকে; যাদের অনেকে এখন বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের জন্য চেষ্টা করছেন।
১৯৭০ সালের পর থেকে অন্তত ১২ লাখ রোহিঙ্গা রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ ও বৌদ্ধ ধর্মীয় বিভিন্ন গোষ্ঠির নির্যাতনের শিকার হয়ে মিয়ানমার ছেড়েছেন। এর মধ্যে সবেচেয়ে বেশি ৫ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশ আশ্রয় নিয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়।
/কিউএস
Leave a reply