সিলেট প্রতিনিধি:
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় বাদিপক্ষ স্বাক্ষী হাজির না করায় পিছিয়েছে তারিখ, পরবর্তী তারিখ ২৭ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছেন বিচারক।
এই মামলায় মোট ৫১ জন স্বাক্ষীর মধ্যে আজ বাদিসহ ৫ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণের কথা ছিলো। রোববার সকাল ১১টায় সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো.মোহিতুল হকের আদালতে হাজির করা হয় মামলার ৮ আসামিকে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল পিপি রাশিদা সাঈদা খানম ও বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. শহিদুজ্জামান চৌধুরী জানান সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ছিনতাই মামলা একই আদালতে একইসাথে বিচার কাজ শুরু করার আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক তা খারিজ করে আগামী ২৭ জানুয়ারী স্বাক্ষী হাজির করার নির্দেশ দেন।
এদিকে, আজ আসামি মাহবুবুর রহমান রনি ও মাহফুজুর রহমান মাসুম জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন করে আজ গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন আদালত। এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আবুল কাশেমের আদালতে ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য। এতে সাইফুর রহমানকে প্রধান করে ছয় জনের বিরুদ্ধে সরাসরি ধর্ষণে জড়িত থাকা এবং অপর দুই জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক নারী। কলেজের গেট থেকে স্বামীসহ তাকে ধরে ছাত্রাবাসে এনে স্বামীকে বেঁধে নারীকে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কর্মীরা।
Leave a reply