তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে উইন্ডিজের বিপক্ষে ১২০ রানের বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ের ফলে টাইগারদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো সফরকারীরা। চট্টগ্রামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ২৯৭ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে ২৯৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৭৭ রানেই থেমে যায় অতিথিদের ইনিংস।
প্রথম দুই ম্যাচে আগে ব্যাট করে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি উইন্ডিজ। চট্টগ্রামের উইকেটে সব সময়ই বোলারদের জন্য বাড়তি কিছু থাকে সেই বিবেচনাতেই টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো ক্যারিবিয়ানরা। তবে প্রথম কয়েক ওভার বেশ ভালো বল করলেও পরে উইন্ডিজের বোলারদের মাটিতে টেনে নামান তামিম সাকিবরা। ব্যাট হাতে সাকিব করেন ৫১; তামিম, মুশফিক ও রিয়াদের সমান ৬৪ রান করে উইন্ডিজের সামনে ছুঁড়ে দেন ২৯৮ রানের জয়ের টার্গেট। সেই জবাব দিতে গিয়ে সেই টাইগার বোলারদের ধারালো বোলিংয়ের সামনে উইন্ডিজের কোনো ব্যাটারই দাঁড়াতে পারেননি।
শুরুতেই মোস্তাফিজের আগুনে পুড়ে ছাই উইন্ডিজের দুই ওপেনার অ্যামব্রিস ও ওটিয়ে। ওটিলেকে ব্যাক্তিগত এক রানে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন দ্যা ফিজ। এর পরে মোস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকার অ্যামব্রিস। ১৩ রানেই ফিরতে হয় তাকে।
তারপরেই মিরাজ ও সাইফুদ্দিন মিলে উইন্ডিজের তিন ব্যাটসম্যানকে ড্রেসিংরুমের পথ ধরিয়ে টাইগারদের জয়ের নৌকাকে এগিয়ে নিয়েছেন। উইন্ডিজের বানার করেছেন ৩১, মায়ার্স করেন ১১ আর জেসন মোহাম্মাদ আউট হন ১৭ রানে। হ্যামিলটনকে ৫ রানে মুশফিকের ক্যাচ বানান মিরাজ। আর রান আউটের ফাঁদে পরে ব্যাক্তিগত ১১ রানে মাঠ চাড়েন জোসেফ। উইন্ডিজ দলের হায়েস্ট স্কোরার পাওয়ালকে ৪৭ রানে ফেরান সৌম্য সরকার। এরপরেই অ্যাকিল হোসেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিন। আর রেইফারকে ২৭ রানে আউট করে প্রতিপক্ষ শিবিরে শেষ পেরাক গাড়েন তাসকিন আহমেদ।
টাইগারদের হয়ে বল হাতে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মিরাজ ও মোস্তাফিজ আর ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরা সাইফুদ্দিনের শিকার ৩ উইকেট। এছাড়া তাসকিন ও সৌম্য নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
Leave a reply