তৃতীয় ধাপে দেশের ৬২ পৌরসভায় হওয়া নির্বাচনের ৪৮টি’র বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ৩৪ জন মেয়র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
সারাদেশে বিদ্রোহী প্রার্থী জিতেছেন ৭ পৌরসভায়। বিএনপি ২টি ও স্বতন্ত্রসহ অন্যরা ৫ পৌরসভায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে সবগুলো পৌরসভাতেই ব্যালট পেপারে ভোট নেয়া হয়েছে।
নির্বাচনী সহিংসতা এড়াতে কেন্দ্রে মোতায়েন ছিল আনসার ও পুলিশ সদস্য। পাশাপাশি ছিল স্ট্রাইকিং ফোর্সও। তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে মেয়র কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ৩ হাজার ৩৪৪ জন প্রার্থী।
এর আগে পৌর নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। কয়েকটি কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা থাকলেও প্রথম দুই ধাপের তুলনায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পৌর নির্বাচনের এ ধাপে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। ৬২ পৌরসভায় তৃতীয় ধাপে ভোটারদের মধ্যে ছিলো ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা।
শনিবার সকাল থেকেই বেশিরভাগ কেন্দ্রে নারী ও পুরুষ ভোটারদের দীর্ঘ সারি লক্ষ্য করা যায়। তবে ব্যাপক সংঘর্ষ-হামলায় রণক্ষেত্র হয় রামগঞ্জ। ভোট শুরুর চার ঘণ্টা পর পশ্চিম কাজীরখীল কেন্দ্র দখল নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। সংঘর্ষ বাধে দুই কাউন্সিলর প্রার্থী মামুনুর রশীদের সাথে জিতু দেওয়ানের অনুসারীদের। এসময় দেশিয় অস্ত্র নিয়ে চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। অবশেষে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
বিশৃঙ্খলা ঘটেছে ফেনীতেও। কেন্দ্র দখল নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে ২ কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে। একই চিত্র ময়মনসিংহের গৌরিপুরে। এসময় হামলার শিকার হন গণমাধ্যম কর্মী। ভাঙচুর করা হয় ক্যামেরাও। সংঘর্ষ-ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে যশোরে।
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডে ভাঙচুর করা হয়েছে ব্যালট বাক্স। এছাড়া নাটোর-চুয়াডাঙ্গাসহ কয়েকটি স্থানে অনিয়মের অভিযোগে ভোট বর্জন করেছে বিএনপি প্রার্থীরা। এর বাইরে বেশিরভাগ স্থানেই ছিলো শান্তিপূর্ণ পরিবেশ। সকালে শীত উপেক্ষা করেই কেন্দ্রে-কেন্দ্রে দেখা যায় ভোটারদের দীর্ঘ লাইন।
নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌর নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখেন চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি এর আগে, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলে।
Leave a reply