ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ঢাকা টেস্টে উইন্ডিজের বিপক্ষে ১৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। এই হারের ফলে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগাররা। মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিনে যতটা প্রত্যাশা নিয়ে বসন্তের প্রথম সকাল শুরু করেছিলো টাইগাররা, দিন শেষে ঠিক ততটাই হতাশ করেছেন তারা। তাইজুল-রাহি-নাঈমদের কল্যাণে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই প্রতিপক্ষের ৭ উইকেট তুলে নিয়ে উন্ডিজকে ১১৭ রানে অলআউট করলেও শেষরক্ষা হয়নি।
জয়ের জন্য টাইগারদের সামনে টার্গেট মাত্র ২৩১ রানের। সেই রান তাড়া করতে নেমে আগ্রাসী শুরু করেছিল তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। ১২ ইনিংস পর বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ৫০ রান পার করে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল কোটি ক্রিকেট ভক্তকে। তবে সেই স্বপ্নের স্থায়িত্ব খুব দীর্ঘ হয়নি। প্রতিপক্ষ যতটা না ভালো বল করেছে তার চেয়েও খারাপ ব্যাটিং করেছেন টাইগাররা।
দলীয় ৫৯ রানে প্রথমে ব্রার্থওয়েটের বলে স্লিপে সৌম্যের ক্যাচ নিলেন কর্নওয়েল। ব্যক্তিগত ১৩ রানে ফেরেন সৌম্য সরকার। তামিমের আউটয়ের ধরনও ছিলো একই রকম। মাসলের বলে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে শর্ট কাভারে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডারের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন তামিম ইকবাল।
শুরুর দুই ব্যাটারের মতই হতাশ করেছে নাজমুল হাসান শান্তও ব্যক্তিগত ১১ আর দলীয় ৭৮ রানে কর্নওয়ালের বলে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে টি ব্রেকে যান। সেখান থেকে ফেরার পর আরও ভয়ঙ্কার হয়ে ওঠে উইন্ডিজ। দলীয় ১০১ রানে মুশফিকের উইকেট তুলে নেন ওয়ারিক্যান। টাইগারদের ভরসা ফেরেন মাত্র ১৪ রানে। কিন্তু লড়াইটা করার চেষ্টা করছিলেন ক্যাপ্টেন মুমিনুল। মিথুনকে সাথে নিয়েই। সেই লড়াইয়ে সঙ্গ দিতে পারেনি মিথুন। কর্নওয়ালের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়লেন তিনিও। এবার ক্যাপ্টেনের পালা। ব্যাট হাতে ২৬ রান করেই ওয়ারিক্যানের বলে আউট হয়ে লিটনের কাঁধে দায়িত্ব দিয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন মুমিনুল হক।
এর কিছুক্ষণ পরেই সিলভার ক্যাচ বানিয়ে লিটনকে ধন্যবাদ জানান কর্নওয়েল। তাইজুল ইসলামকে সাথে নিয়ে মেহেদি মিরাজ লড়াই করার আভাস দিলেও কর্নওয়েলের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে এলবির ফাঁদে পড়েন তাইজুল ইসলাম। বল হাতে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর তাইজুল করেন ৮ রান। নাইম হাসানকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। কিন্তু সেই চেষ্টার মুখে ছাই দিয়ে অসহায় আত্মসমর্পণ করেন নাইম হাসান। ব্রার্থওয়েটের বলে তিনি আউট হন ১৪ রান করে।
এতকিছুর পরেও বুক চিতিয়ে লড়াই করছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ব্যাট হাতে আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত ৫৬ বলে খেলেছেন ৩১ রানের লড়াকু ইনিংস। যেখানে বাউন্ডারি ছিল চারটি আর ওভার বাউন্ডারি দুইটি। ওয়ারিক্যানের বলে মিরাজ আউটের মাধ্যমেই টেস্টে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ। টাইগাররা অলআউট হয় ২১৩ রানে।
Leave a reply