ভাষাণচরে বেশ ভালই আছেন মিয়ানমার থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা এইসব রোহিঙ্গা। রাখাইন থেকে কক্সবাজার, তারপর ভাষাণচরে নতুন জীবন শুরু। কিন্তু এখনো ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতন নিপীড়ন, ধর্ষণ আর হত্যাকান্ড দেখার দগদগে স্মৃতি ভুলতে পারেনি নারীরা। তাই নিজ দেশে ফেরার কথা ভাবতে পারছেন না রোহিঙ্গা নারীরা।
তবে ফেরার স্বপ্ন দেখেন অনেক রোহিঙ্গা পুরুষ। তারা বলছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি নাগরিকত্ব আর নিজেদের সব সম্পদ ফেরৎ পেলে অবশ্যই ফিরবেন তারা।
ভাষাণচরে রীতিমত কাজের ব্যবস্থা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের। তৈরি হয়েছে হাসপাতাল, আছে বিনোদনের ব্যবস্থাও। এরই মধ্যে সেখানে তৈরি হয়েছে ৪২ কিলোমিটার সড়ক। প্রায় দু’শ বছরের ঝড় বৃষ্টির তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি হয়েছে তিন স্তরের সুরক্ষা বাধ।
তারপরও নিজের জন্মভূমি মিয়ানমারের রাখাইনে ফিরতে চান অনেকেই। এমনকি কথিত গণতান্ত্রিক বা সামরিক জান্তা- ক্ষমতায় যেই থাকুক, ফেরার স্বপ্ন তাদের চোখেমুখে।
তিন হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প রোহিঙ্গাদের যে স্থায়ী আবাস নয়, সে কথা তাদের মনে করিয়ে দেন দায়িত্বশীলরা। মানবিক কারণেই তাদের দেশে ফেরাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কার্যকর উদ্যোগ নিক, এমন দাবি বাংলাদেশে থাকা লাখো রোহিঙ্গার।
Leave a reply