গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। এই মামলা থেকে আনিসুর রহমানকে খালাস দিয়েছেন আদালত। একইসাথে মেহেদি হাসানের ১৪ বছরের জেল শেষে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার এই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর হাইকোর্টের রায় পড়া হয়। ভাষার মাসে রায়টি ইংরেজির পরিবর্তে বাংলায় দেয়া হয়েছে।
কোটালীপাড়ায় ৭৬ কেজি বোমা পুঁতে হত্যার চেষ্টা করা হয় শেখ হাসিনাকে। দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিরা যে তারিখে আদালতে আত্মসমর্পণ করবে তাদের সাজা সেদিন থকেই কার্যকর করা হবে। একইসাথে দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
গত ১ ফেব্রুয়ারি এই আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়। পরে রায় ঘোষণার জন্য ১৭ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেন আদালত। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মমতাজ বেগম ১০ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয় চার আসামিকে। মামলার রায়সহ সকল নথি ওই বছরের ২৪ আগস্ট হাইকোর্টে পাঠানো হয়। প্রধান বিচারপতির কাছে নথি উপস্থাপন করা হলে তিনি পেপারবুক তৈরির নির্দেশ দেন।
২০০০ সালের ২০ জুলাই কোটালীপাড়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়। এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানার তখনকার উপ-পরিদর্শক নূর হোসেন বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
২০০১ সালের ৮ এপ্রিল ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। পরবর্তীকালে ২০০৯ সালের ২৯ জুন আরও নয়জনকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়া হয়। এরপর ২০১০ সালে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা-২ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। সেখানে এই মামলার বিচার সম্পন্ন হয়।
ইউএইচ/
Leave a reply