মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় শাহ আলম (২৩) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগে তার মা হামিদা বেগম (৪৫), বোন নার্গিস আক্তার (২১) ও বোন জামাই সবুজ মিয়াকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যায় তাদের আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তিনজন। নিহত শাহ আলম উপজেলার টেঙ্গারচর ইউপির বৈদ্যারগাঁও গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। এদিন ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার টেঙ্গারচর গ্রামের বৈদ্যারগাও গ্রামে নিজ বসতঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে এঘটনায় শনিবার রাতে পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মরদেহ উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শাহ আলম মাদকাসক্ত, সে নিজেই তার মাথা ও শরীরে আঘাত আত্মহত্যা করেছে বলে জানায় অভিযুক্ত মা, বোন ও বোন জামাই।
পুলিশের উপস্থিতির আগে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার জন্য লাশটি রশিতে ঝুলিয়ে কিছুক্ষণ রাখার পর নিজেরাই আবার লাশটি নামিয়ে ফেলে।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রইছ উদ্দিন জানান, মায়ের চলাফেরা নিয়ে শাহ আলম তার মাকে সাবধান করতে চাইলে তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এরপর বোন ও বোনজামাই পিত্রালয়ে বসবাস করে আসছিল।
সম্প্রতি তাদেরকে শ্বশুর বাড়িতে চলে যাওয়ার জন্য বলে সে। এসব কারণ নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টায় ভোরে শাহ আলমের মুখ চেপে ধরে মাথা, গলা ও হাতে আঘাত করে হত্যা করা হয়। যা আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার জন্য লাশটি রশিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এবং কিছুক্ষণ পর নিজেরাই আবার লাশটি নামিয়ে ফেলে।
এ ঘটনা শাহ আলমের ভাই সাদেক হোসেন সিকদার লিখিত অভিযোগে জানালে মামলা রুজু হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে আছে।
Leave a reply