রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিহত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী মৌমিতাকে ধর্ষণের কোনো আলামত পায়নি ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। তবে বাড়ির সাত তলার ছাদ থেকে পড়ার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে তিনি। এদিকে মৌমিতাকে হত্যা করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ
ঢাকা মেডিকেলের মর্গে সন্তান হারানোর বাবার আর্তনাদ। আদরের বুকের ধন ফিরবে না কখনো। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় ধানমন্ডির নিজ ভাড়া বাসার ছাদে উঠেছিল মৌমিতা। এরপর সন্ধ্যায় তার মরাদেহ পরে থাকে ভবনের পেছনে। পড়ে যাওয়ার সেই চিত্র দেখেছিলেন গ্রীন রোড সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারের নিরাপত্তা কর্মী।
বাড়ির সাত তলার ছাদে প্রায়দিনই ক্রিকেট খেলতো ভবনের মালিক এর ছেলে ফারজাদ ও তার কয়েকজন বন্ধু। পরিবারের অভিযোগ ফারজাদ ও তার বন্ধু আদনান তরুণীকে উত্ত্যক্ত করতো। তাদের পরিবারকে অভিযোগ দিয়ে কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
এদিকে মৌমিতাকে ধর্ষণের কোনো আলামত পায়নি ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। তবে বাড়ির সাত তলার ছাদ থেকে পড়ার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ বলছে, ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভির ফুটেজ ও আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এটি হত্যা কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ ঘটনায় পুলিশ আদনানকে হেফাজতে নিয়েছে। নিহত মৌমিতা মালয়েশিয়ার এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের তৃতীয় সেমিস্টারের পড়তো।
Leave a reply