স্টাফ করেসপন্ডেন্ট:
নীলফামারীর জলঢাকার রাজারহাট এলাকায় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে নিহত রুবাইয়া ইয়াসমিন রিমুর লাশ এখন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।
প্রেমিকের সাথে বেড়াতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। তবে পরিবারের অভিযোগ, ফয়সাল নামের ওই প্রেমিক জোর করে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল চাপা দিয়ে হত্যা করেছে।
যদিও পুলিশ বলছে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিষয়টি হত্যা না সড়ক দুর্ঘটনা বলা যাবে না। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার সকালে নীলফামারী সদরের গ্রামের বরমতল গ্রামের আব্দুল্লাহ মিয়ার পুত্র ও কচুকাটা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফয়সাল তার প্রেমিকা পার্শ্ববর্তী তালুক মানুষমারার আব্দুর রাজ্জাকের কন্যা রুবাইয়া ইয়াসমিন রিমুকে মোটরসাইকেলে নিয়ে ঘুরতে বের হন।
পথিমধ্যে জলঢাকার রাজারহাট বাজারের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় ছিটকে পড়েন তারা। স্থানীয়রা প্রথমে তাদের জলঢাকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। অবস্থার অবনতি হলে ফয়সাল তার বন্ধু রিজভীর সহায়তায় তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। দুপুরে রিমু মারা গেলে ফয়সাল ও রিজভী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।
তবে নিহতের মামাতো ভাই ও নানার দাবি, ফয়সাল ও রিজভী অনেক দিন ধরেই রিমুকে উত্ত্যক্ত করতো। সোমবার সকালে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় তারা রিমুকে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে পথিমধ্যে ফেলে দিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় জলঢাকা থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে পরিবার। আর জড়িতদের গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন তারা।
Leave a reply