রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে দৃষ্টিনন্দন পাবলিক টয়লেট বানানোর কথা জানালেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা। শহরে কর্মজীবী নারীদের পাবলিক টয়লেট ব্যবহারে নানা অসুবিধার প্রেক্ষিতে তিনি এই আশ্বাস দেন।
রাজধানীতে টয়লেট ব্যবহার নিয়ে চলতি পথে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় কর্মজীবী নারীদের। বিশাল এই নগরীর জন্য পাবলিক টয়লেট আছে মাত্র ৯১টি। মোবাইল টয়লেটগুলোও ব্যবহার অনুপযোগী।
ভুক্তভোগী নারীরা বলছেন, খাবার পানির মতো স্যানিটেশনও মানুষের অধিকার। কারণ জনবহুল রাজধানী ঢাকায় কর্মজীবী নারীর সংখ্যা বেড়েছে। প্রয়োজনে বাসার বাইরে নারীকে থাকতে হয় অনেকটা সময়। তাই দীর্ঘ এই সময়ে তাদের প্রয়োজন হয় পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের।
ভুক্তভোগী তেমনই একজন ইফফাত নওরিন। তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় বিপদে পড়েই খুঁজছেন পাবলিক টয়লেট। ট্রাফিক পুলিশকে জিজ্ঞেস করেন কাছে পাবলিক টয়লেট কোথায়? কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ জানান, আশেপাশে পাবলিক টয়লেট নেই।
কাছেই কোন পাবলিক টয়লেটের সন্ধান নেই। ফোনে পাবলিক টয়লেটে অ্যাপসটি খুললেন। অ্যাপসটি বলছে, কাছাকাছি যে পাবলিক টয়লেট রয়েছে সেটি ফার্মগেটে। তাও প্রায় এক কিলোমিটার দূরে। অ্যাপস আছে কিন্তু সঠিক স্থানে নেই টয়লেট; তাহলে সমাধান কী?
অন্যদিকে ট্রাফিক সার্জেন্ট পূজা গুপ্ত জানান, ভ্রাম্যমাণ দায়িত্ব পালন সময় টয়লেট নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় তাদেরও।
সবমিলিয়ে মোট ৯১টি পাবলিক টয়লেট আছে এ বিশাল শহরে। কিন্তু ঢাকার মোবাইল টয়লেটগুলোর কোনটি ব্যবহারের ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী। টয়লেট রেখে অনেকেই সচেতনতার অভাবে পাশে দাঁড়িয়ে কাজ সারেন। কিছু টয়লেটে আবার নোংরা পরিবেশ। আবার কিছু উপযুক্ত স্থানে না বসানোয় লোকজন ব্যবহারই করেন না।
জানতে চাইলে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা জানান, আমাদের যে পাবলিক টয়লেট আছে সেটি যে একদম যথেষ্ট তা নয়। আগামী ৬ মাস থেকে এক বছরের মধ্যে দৃষ্টিনন্দন উপায়ে আরও ৯০টি পাবলিক টয়লেট তালিকায় যুক্ত হবে।
Leave a reply