ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলা সদর হাসপাতালে ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে নার্সদের শিশু প্রসব করতে গিয়ে গলা ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার রাতে ভোলা সদর হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে বলে। নবজাতকের গলা ছিড়ে যাওয়ায় অবস্থা বেগতিক দেখে ডেলিভারি শেষ না করে অপারেশন থিয়েটারে মা-শিশুকে রেখে নার্সরা পালিয়ে যায়। ঘটনায় প্রতিবাদ করায় রোগীকে মারধর করা হয়েছে বলে রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেন।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, রোগীকে মৃত বাচ্চা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া চেষ্টা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় ভোলা সদর হাসপাতালের পক্ষ থেকে ৩ দিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।
ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চরকলি গ্রামের প্রসূতির স্বামী মো. জুয়েল জানান, শনিবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় আমার স্ত্রী রহিমা বেগমের প্রসব ব্যথা ওঠে। অবস্থা খারাপ দেখে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। প্রথমে হাসপাতালের নার্সরা রোগী দেখে জানান নরমাল ডেলিভারিতে সন্তান হবে। পরে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার পরে শিশুটির ডেলিভারি করতে গিয়ে তার গলাসহ মাথা ছিঁড়ে ফেলে নার্স দেবি।
পরে নবজাতকের গলা ছিড়ে যাওয়ায় অবস্থা বেগতিক দেখে সিজার করা লাগবে বলে ডেলিভারি শেষ না করে অপারেশন থিয়েটারে মা-শিশুকে রেখে নার্সরা পালিয়ে যায়। পরে অন্য নার্সরা এসে রোগীকে বেডে পাঠায়।
এই ঘটনায় ভোলা সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ বলেন, গতকাল শনিবার রাতে পেটের ভিতরে মৃত বাচ্চা নিয়ে হাসপাতালে একজন রোগী ভর্তি হয়। এসময় তার প্রসব ব্যথা ছিলো। হাসপাতালের নার্সরা তার নরমাল ডেলিভারি করে। এসময় ডেলিভারি শেষ করার আগে রোগীর জটিলতা দেখা দেয়। পরে সকালে কনসালটেন্ট ডাক্তার এসে রোগীর চিকিৎসা করে। এই ঘটনায় ভোলা সদর হাসপাতালের পক্ষ থেকে ৩ দিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।
Leave a reply